শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য নিদাহাস ট্রফির দলে রাখা হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। অন্তত দুটি ম্যাচে পাওয়ার আশায় অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে দলে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। তবে এখন পুরোটা ত্রিদেশীয় এ টি-টোয়েন্টি সিরিজেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে না পাওয়ার শঙ্কা জেগেছে।
বাঁহাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের চোট সম্পর্কে বিশেষজ্ঞর মতামত নিতে থাইল্যান্ড যাওয়া সাকিব সুখবর পাননি। কারণ থাইল্যান্ডের চিকিত্করা আরো অন্তত এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ফিজিওথেরাপি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন তাকে। ফিজিওথেরাপি নেয়ার পর অগ্রগতি হলেও সাকিব সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নামতে পারবেন না। পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে আরো কয়েকদিন। তাই নিদাহাস ট্রফিতে তার না খেলার বিষয়টি এখন অনেকটাই স্পষ্ট।
গতকাল বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এ সম্পর্কে জানিয়েছেন, ‘আরো এক সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি করতে হবে। আমাদের এখানেই ফিজিওথেরাপি হবে। তারপর দেখবো। ভালো হলে চলবে। না হয় নতুন চিন্তা করতে হবে।’ সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াও পাঠানো হতে পারে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে।
এদিকে আজই ঢাকায় ফিরে আসছেন সাকিব। দেশেই তার আঙ্গুলের ফিজিওথেরাপি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘ও কালকেই (আজ) দেশে চলে আসবে। ফিজিওথেরাপি করতে হবে এটাই বড় কথা।’
তবে সাকিব দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা যাবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বিসিবি পাঠাতে চাইলে কলম্বোতে ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা করা হবে।
যদিও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের আশা, নিদাহাস ট্রফির শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে পারবেন সাকিব। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তোবা একটা দুইটা ম্যাচ মিস করতে পারে। আশা করছি ওর খেলার সম্ভাবনা আছে।’
ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৮ মার্চ, ভারতের বিরুদ্ধে। ১০ মার্চ শ্রীলঙ্কা, ১৪ মার্চ ভারত ও ১৬ মার্চ স্বাগতিক লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ৪ মার্চ শ্রীলঙ্কা যাবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
গত ২৭ জানুয়ারি মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিংয়ের সময় আঙ্গুলে চোট পান সাকিব। তারপর একমাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট, টি- টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি তিনি। গত কিছুদিন ঢাকায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। বোলিংয়ে না হলেও ব্যাটিং করতে সমস্যা হওয়ায় সাকিবকে এ চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হবে আরো প্রায় দুই সপ্তাহ।
নিহাদাস ট্রফিতে ভালো করতে সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন কোচ সালাউদ্দিন। গতকাল মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার মনে হয় যে, আমাদের যে পাঁচজন সিনিয়র ব্যাটসম্যান আছে তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। তারা তিনটা ফরম্যাটেই আমাদের লিড করছে, তাদের পারফর্ম করাটা খুব জরুরি।’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলিংয়ে ঘাটতি দেখছেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি বলবো আমাদের এখনো অনেক ঘাটতি আছে বোলিংয়ে। আমাদের আসলে ওই মানের বোলার কম আছে যারা টি-টোয়েন্টিতে ভালো বল করবে। হয়তো সাকিব আসলে একটা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বোলার টিমে ঢুকবে। তারপরও আমি বলবো আমাদের বোলিং দিকটা একটু দুর্বল।’
শরীরের গঠন, জোরে মারা, স্কিল লেভেলটা মিলে এ ফরম্যাটে পিছিয়ে বাংলাদেশ। সালাউদ্দিনের মতে, তাই টি-টোয়েন্টির চ্যালেঞ্জ উতরাতে নতুন করে চিন্তা করা উচিত বাংলাদেশ দলের।