১১২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেও ইংল্যান্ডের কাছে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে দলের হার এড়াতে পারলেন না নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আজ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৪ রানে হারে নিউজিল্যান্ড। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংলিশরা।
ওয়েলিংটনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেনি ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড বোলারদের নৈপুণ্যে ৫০ ওভার ব্যাট করে ২৩৪ রানেই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। দলের পক্ষে কোন ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নিতে পারেননি। হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় গিয়ে ৪৮ রানে থেমে যান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তার ৭১ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। এ ছাড়া বেন স্টোকস ৭৩ বলে ৩৯, উইকেটরক্ষক জোশ বাটলার ২৯ ও মঈন আলী ২৩ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধি ৩টি ও ট্রেন্ট বোল্ট ২টি উইকেট নেন।
জবাবে ২৩৫ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। দলীয় ১২ রানে ওপেনার মার্টিন গাপিটলকে হারায় তারা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন আরেক ওপেনার কলিন মুনরো ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৬৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৯ রান করে মুনরো ফিরে যাবার পর দ্রুতই ৪ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে স্বাগতিকরা। ১০৩ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
এরপর আট নম্বর ব্যাটসম্যান মিচেল সাঁটনারকে নিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। সফল হয়েছেন তারা। তাদের ৯৬ রানের জুটিতে ম্যাচ জয়ের লড়াইয়ে টিকে থাকে নিউজিল্যান্ড। সাঁটনার ৫৪ বলে ৪১ রান করে ফিরে গেলে কিউইদের একমাত্র আশা ভরসার প্রতীক ছিলেন উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ১৫ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করার পাশাপাশি ইনিংসের শেষভাগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
এরপর শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার পড়ে নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু ইংল্যান্ডের ডানহাতি পেসার ক্রিস ওয়াকসের ওই ওভার থেকে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি উইলিয়ামসন-সোধি জুটি। অবশ্য পুরো ছয় বলই মোকাবেলা করেন কিউই দলপতি। শেষ পর্যন্ত ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৪৩ বলে ১১২ রানে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামসন। ইংল্যান্ডের পক্ষে মঈন ৩৬ রানে ৩টি উইকেট নেন। তাই ম্যাচের সেরাও হন তিনি।
ডানেডিনে আগামী ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ।