বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
সুধীর বরণ মাঝি, শিক্ষক
হাইমচর মহাবিদ্যালয় , চাঁদপুর
১৪। মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম প্রধানত কয়ভাগে বিভক্ত ছিল ?
(ক) ২ ভাগে (খ) ৩ ভাগে
(গ) ৪ ভাগে (ঘ) ৫ভাগে ।
১৫। স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের পূর্ব নাম (ক) ঢাকা সম্প্রচার কেন্দ্র
(খ) চট্টগ্রাম সম্প্রচার কেন্দ্র
(গ) আকাশবাণী সম্প্রচার কেন্দ্র
(ঘ) কালুরঘাট সম্প্রচার কেন্দ্র ।
১৬। মুজিবনগর সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত নিয়োগ করার কারণ-
(i) অস্ত্র সংগ্রহ (ii) যুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন (iii) বিদেশিদের সমর্থন আদায়।
নিচের কোনটি সঠিক
(ক) i (খ) iiও iii (গ) i ও ii (ঘ) i,ii ও iii । ১৭। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে কত হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয় ?
(ক) ৪ থেকে ৫ হাজার (খ) ৫ থেকে ৬ হাজার (গ) ৬ থেকে ৭ হাজার (ঘ) ৭ থেকে ৮ হাজার ।
১৮। মুজিবনগর সরকারকে শপথ বাক্য পাঠ করান-
(ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
(খ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম
(গ) ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
(ঘ) অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
১৯। নিলয়ের মামা ১৯৭১ সালে নৌবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় যুদ্ধ করেন। তিনি কত নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন ?
(ক) ৫ নং সেক্টর (খ) ৭ নং সেক্টর
(গ) ১০ নং সেক্টর (ঘ) ১১ নং সেক্টর ।
২০। ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করার ব্যাপারে পূর্বশর্তগুলোর মধ্যে ছিল-
(i) সামরিক শাসন প্রত্যাহার (ii) গণপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর (iii) সেনাবাহিনীদের বেতন বৃদ্ধি।
নিচের কোনটি সঠিক
(ক) i (খ) i ও ii (গ) i ও iii (ঘ) i,ii ও iii ।
২১। ’অপারেশন জ্যাকপট’ কীসের নাম ?
(ক) অনুষ্ঠানের (খ) বিমান আক্রমন
(গ) পরিকল্পনার (ঘ) অভিযানের।
২২। ’কে’ ফোর্সের অধিনায়ক কে ছিলেন ?
(ক) খালেদ মোশাররফ (খ) জিয়াউর রহমান
(গ) জেনারেল ওসমানী (ঘ) কে.এম. সফিউল্লাহ।
২৩। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা কত নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল ?
(ক) ১ নং সেক্টর (খ) ২নং সেক্টর
(গ) ৩ নং সেক্টর (ঘ) ৪ নং সেক্টর ।
২৪। মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন ?
(ক) তাজউদ্দিন আহমদ
(খ) খন্দকার মোশতাক
(গ) এম.মনসুর আলী
(ঘ) এ.এইচ.এম.কামারুজ্জামান।
২৫। কত তারিখে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ?
(ক) ১০ মার্চ ১৯৭০ (খ) ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(গ) ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ (ঘ) ২০ মে ১৯৭১ ।
২৬। ভারত কত তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ?
(ক) ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ (খ) ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১
(গ) ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ (ঘ) ৯ ডিসেম্বর ১৯৭২।
২৭। মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
(ক) শেখ মুজিবুর রহমান (খ) তাজউদ্দিন আহমদ (গ) খন্দকার মোস্তাক (ঘ) এম মনসুর আলী।
২৮। কত তারিখে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন?
(ক) ১০ এপ্রিল ১৯৭০
(খ) ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(গ) ১৭ এপ্রিল ১৯৭১
(ঘ) ২০এপ্রিল ১৯৭১ ।
২৯। ২৫ মার্চকে কী বলা হয় ?
(ক) গণহত্যা দিবস (খ) স্বাধীনতা দিবস
(গ) বিজয়দিবস (ঘ) মৈত্রী দিবস। ৩০। আমাদের বিজয় দিবস কত তারিখে ?
(ক) ৭ মার্চ (খ) ২৫ মার্চ
(গ) ১০ এপ্রিল (ঘ) ১৬ ডিসেম্বর
উপরের উত্তরগুলো পাঠ্যবই পড়ে বের করো।
০০০
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
মিজানুর রহমান, সহকারী শিক্ষক
পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পিরোজপুর
জনাব এহসান সাহেব অনেক টাকা পয়সার মালিক। কিন্তু তিনি নিয়মিত সম্পদের জাকাত আদায় করেন না। তিনি একদিন মসজিদের ইমাম সাহেবকে বললেন, জাকাত দিয়ে কী হবে ? এতে তো সম্পদ কমে যায়। ইমাম সাহেব তার কথা শুনে বললেন, জাকাত দিলে সম্পদ কমে না বরং বৃদ্ধি পায়,পবিত্র হয়। তিনি আরও বললেন, জাকাত আদায়ের মাধ্যমে ধনী ও গরিবের মাঝে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃদৃঢ় হয়।
ক. নিসাব অর্থ কী ?
খ. ইবাদাত বলতে কী বোঝায় ?
গ. জাকাত সম্পর্কে জনাব এহসান সাহেবের মনোভাব তুমি কি শরিয়ত সম্মত মনে করো ? বুঝিয়ে বলো।
ঘ. উদ্দীপকে ইমাম সাহেবের সর্বশেষ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
উত্তর-ক. নিসাব অর্থ জাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণ।
উত্তর-খ. ইবাদত মানে দাসত্ব,আনুগত্য ও বন্দেগী করা। ইসলামি শরিয়তের
পরিভাষায় আল্লাহ তাআলার আনুগত্য স্বীকার করে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলাকে ইবাদত বলে।
উত্তর-গ. জাকাত সম্পর্কে জনাব এহসান সাহেবের ধারণা মোটেই সঠিক নয়। জাকাত দিলে সম্পদ ব্যক্তি বিশেষের হাতে পুজ্ঞীভূত থাকে না। অসংখ্য মানুষের হাতে চলে যায়। ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে। সমাজের সামাগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়। নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। ফলে সমাজ থেকে বেকারত্ব দূর হয়। সমাজ দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পায়। জাকাত প্রদানকারীর কাছে আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে তার সম্পদ কমে যায়। আসলে কিন্তু তা নয়। অপরের অংশ দিয়ে দিলে বাকি সম্পদ মালিকের জন্য পবিত্র হয়ে যায়। তার সম্পদের হিফাজতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ নিয়ে নেন। সম্পদে বরকত দান করেন। আর তার সম্পদ বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন,যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, আমি অবশ্যই (আমার নিয়ামত) অধিক করে দেব। হাদিসে কুদসিতে আছে, নবি করিম (স:) বলেন,আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে বলেন,হে বনি আদম! আমার পথে খরচ করতে থাকো। আমি আমার অফুরন্ত ভাণ্ডার থেকে তোমাদেরকে দিতে থাকবো। বুখারী ও মুসলিম
ঘ. জাকাত ব্যবস্থা মানুষকে কৃপণতা, সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা, হিংসা,বিদ্বেষ প্রভৃতি বদাভ্যাস থেকে পবিত্র করে। আর পারম্পরিক ভালোবাসা, ত্যাগ দয়া-দাক্ষিণ্য ইত্যাদি মহত্ গুণাবলি মানুষের মনে সঞ্চার করে। যাদের ওপর জাকাত ফরজ তারা যদি স্বতঃস্ফূতভাবে জাকাত আদায় করে তাহলে সমাজে অভাব অনটন থাকে না। অর্থনৈতিক ভারসাম্য ফিরে আসে। ইসলাম যে সাম্যের বাণী প্রচার করেছে জাকাত প্রথা ধনী-গরীবের মাঝে বিরাজমান সেই অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে সকলকে সমপর্যায়ে নিয়ে আসার সু-ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। জাকাত আদায়ের মাধ্যমে সম্পদশালীদের দানশীল মানসিকতার বিকাশ ঘটে। ফলে তারা অভাবীদের প্রয়োজন মেটাতে অনেক জনহিতকর ও কল্যাণমূলক কাজ করে। বহু দরিদ্র ব্যক্তিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলে। ফলে এই সমস্ত দানশীল সম্পদশালী আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিদের সাথে দরিদ্র শ্রেণির একটা সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জাকাত আদায়ের মাধ্যমে ধনীরা গরিবের খুব কাছাকাছি আসার সুযোগ লাভ করে। গরিবদের দুঃখ-দুর্দশা স্বচক্ষে অবলোকন করার সুযোগ পায়। ধনীরা গরিবদের কষ্ট মন দিয়ে উপলব্দি করতে পারে। দরিদ্রের প্রতি ধনীদের গভীর সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। আর এই সমস্ত বিত্তশালীদের প্রতি গরিবরাও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে ধনী ও গরিবের মাঝে জাকাত প্রথা সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও মজবুত করে।