নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান।
২৭ মার্চ তিনি নিজ স্বাক্ষরযুক্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘উক্ত প্রবন্ধের কিছু বক্তব্য জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। আমি আন্তরিকভাবে সেজন্য ক্ষমা প্রার্থণা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখানে আমি উল্লেখ করতে চাই যে, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামের একটি প্রবন্ধে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে। বিষয়টি সামনে আসার পর তার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
২৭ তারিখ দুপুরে তারা অধ্যাপক মোর্শেদের বহিস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন, তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
এদিকে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান মঙ্গলবার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘জ্যোর্তিময় জিয়া’ যদি কাউকে ব্যথিত করে থাকে, আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।