দেশের রপ্তানি খাত মূলত পোশাক নির্ভর। এ খাতে ভাল করলে সার্বিকভাবেও রপ্তানিতে ভাল হয়। আর যখন এখাতের রপ্তানি কমে যায় স্বাভাবিকভাবেই মোট রপ্তানিতেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনটাই সাধারণত হয়ে আসলেও গত মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। তবে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম নয় মাসে সার্বিক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তবে এ সময়ে রপ্তানিতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর একক মাস মার্চে আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। আর লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি এক দশমিক ৩৮ শতাংশ নেতিবাচক। আর গেল মাসের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন দশমিক ১৯ শতাংশ কম।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৭৫৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে দুই হাজার ৭৪৫ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শুন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ কম আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল দুই হাজার ৫৮১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
একক মাস হিসাবে মার্চে মোট ৩০৫ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। সে হিসাবে আগের অর্থবছরের মার্চ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের মার্চে চার কোটি ২৮ লাখ ডলারে কম রপ্তানি হয়েছে।
ইপিবি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে নিট পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে এক হাজার ১৩২ কোটি ১১ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দুই দশমিক তিন শতাংশ বেশি। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ১০৯ কোটি ৬২ লাখ ডলার। এ সময়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আয় হয়েছিল এক হাজার ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। গত জুলাই থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি করে এক হাজার ১৫১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার আয় হয়েছে। যা আগের অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। আর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় চার দশমিক তিন শতাংশ বেশি।
এ সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ১০৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরে একই সময়ে এ খাতে আয় হয়েছিল এক হাজার ৭৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার। স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাত ও হোম টেক্সটাইল খাতের প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রাও ইতিবাচক। এছাড়া প্লাস্টিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ অল্প কয়েকটি পণ্য ছাড়া বেশিরভাগ পণ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি ভাল প্রবৃদ্ধি হয়েছে।