চলতি (২০১৭-১৮) অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোট দেশজ উত্পাদনে (জিডিপি) রেকর্ড ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক হিসাব করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। একইসাথে মাথপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৫২ ডলারে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একনেক সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করা হয়।
বৈঠকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের কৃতিত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব শ্রেণির মানুষের সামষ্টিক প্রচেষ্টায় প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে। পরে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স ও রাজস্ব আয় বেড়েছে। তাছাড়া পরিকল্পিত অর্থনীতির কারণে দেশের আর্থিক খাতে অগ্রগতি হয়েছে। অর্থবছর শেষে চূড়ান্ত হিসাবে আশা করছি জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে। কেননা সারা বিশ্বের কোথাও অর্থনৈতিক মন্দা নেই।
গত কয়েক বছরের প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। ধারাবাহিকভাবে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। ফলে আমরা অর্থনৈতিক সূচকে অনেক দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি।
বিবিএস এর তথ্যানুযায়ী, দেশের মাথাপিছু আয়ও বাড়ছে। মাথাপিছু স্থুল জাতীয় আয় (জিএনআই) অর্থবছর শেষে দাঁড়াবে ১ হাজার ৭৫২ ডলারে। গত অর্থবছর মাথাপিছু জিএনআই ছিল ১ হাজার ৬১০ ডলার। এ হিসাবে এক বছরে মাথাপিছু আয় বাড়ছে ১৪২ ডলার। বিবিএস এর সাময়িক হিসাবে মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদনের (জিডিপি) আকার দাঁড়াবে ২৭৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। গত অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ২৪৮ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।