• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

পোশাক আমদানি ইউরোপের বেড়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কমেছে

আপডেটঃ : শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮

গত ২০১৭ সালে ইউরোপের দেশগুলোর পোশাক আমদানি আগের বছরের চেয়ে প্রায় সোয়া তিন শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশের পোশাক আমদানির তথ্য প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ইউরোস্ট্যাট এ তথ্য দিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওটেক্সা’র তথ্য অনুযায়ী একই সময়ে দেশটির পোশাক আমদানি কমেছে শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ (০.৪৯%)।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির মূল দুটি গন্তব্য ইউরোপ ও আমেরিকা। ফলে এ দুটি অঞ্চলের পোশাকের চাহিদা কিংবা আমদানি আমাদের পোশাক রপ্তানিকেও প্রভাবিত করে। ইউরোস্ট্যাটের হিসাব অনুযায়ী গত বছর ইউরোপের ২৮টি দেশ সবমিলিয়ে ৯ হাজার ২৮১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ পোশাক আমদানি করেছে। এর আগের বছর আমদানির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৯৮৯ কোটি ডলার। এক বছরের ব্যবধানে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে পোশাক আমদানি বেড়েছে ২৯১ কোটি ডলারের। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য  আমদানি করেছিল ৮ হাজার ২৯ কোটি ডলারের। আর ২০১৬ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৬৮ কোটি ডলারের। অর্থাত্ এক বছরে দেশটির  তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল আমদানি কমেছে ৩৯ কোটি ডলারের।
আলোচ্য সময়ে ইউরোপের দেশগুলোতে শীর্ষ ১০টি রপ্তানিকারক দেশ হলো চীন, বাংলাদেশ, তুরস্ক, ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চীন। দেশটি এককভাবে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে ৩ হাজার ৯০ ডলারের। আর বাংলাদেশ ১ হাজার ৭২৭ কোটি ডলারের। শীর্ষ ১০ বাজারের মধ্যে সবার নিচে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। গত বছর ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছিল ৪ দশমিক ২১ শতাংশ। তবে কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের রপ্তানি অপেক্ষাকৃত বেশি হারে বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে দেশ দুটির রপ্তানি বেড়েছে ১১ শতাংশের উপরে। এছাড়া তৈরি পোশাকে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনামের সাত শতাংশ বেড়েছে। তবে আলোচ্য সময়ে ইউরোপে শীর্ষ দশটি পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ পোশাক ও টেক্সটাইল রপ্তানিকারক দেশ চীন। এর পর ভিয়েতনাম। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এর পর যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানি কমে গেছে প্রায় সাড়ে চার শতাংশ। রপ্তানি কমার তালিকায় রয়েছে চীন, ইন্দোনেশিয়া, হন্ডুরাস ও দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে সাত শতাংশ। এছাড়া ভারত, মেক্সিকো, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের রপ্তানি বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না। সেখানে বাংলাদেশি পোশাক পণ্যকে প্রায় ১৬ শতাংশ শুল্ক-কর পরিশোধ করে প্রবেশ করতে হয়। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের প্রায় সব পণ্যই শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। এর ফলে গত কয়েক বছরে ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বেড়েছে। ফলে রপ্তানি বাড়ছে। শুধু তাই নয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসেবে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম নয় মাস অর্থাত্ গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের হিসাব দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার এখন ইউরোপের দেশ জার্মানি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ