ফিটনেস নিয়ে বরাবরই খুব সচেতন বিরাট কোহলি। নিজে যেমন ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন সব তরুণদের জন্যই এটা প্রয়োজন বলে মনে করেন ভারতীয় অধিনায়ক। শুধু ক্রিকেটার নয়, অন্যদের ক্ষেত্রেও এমনটাই মনে করেন তিনি। আর এক্ষেত্রে অধিক পরিমাণ মোবাইল ফোনে আসক্তিকে অন্তরায় হিসেবে দেখছেন কোহলি।
তিনি বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার না হলেও আমি ব্যায়াম ছাড়া থাকার কথা ভাবতাম না। পিউমার জরিপে দেখা গেছে মানুষ এখন চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা শুধু মোবাইল ফোনে ব্যয় করে। প্রযুক্তি আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ভালোর চেয়ে খারাপ করছে বেশি। মানুষ নিজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনটা তাই ভুলে যাচ্ছে। মানসিক ও শারীরিক বিকাশে কী করা উচিত, সেটাই ভুলে যাচ্ছে সবাই।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তরুণদের ফেরানোটা কঠিন মানছেন ভারতীয় অধিনায়ক। এ জন্য সবাইকে একটা রুটিনের মধ্যে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তরুণদের অগ্রাধিকারের বিষয়টি ঠিক করতে হবে। একটা রুটিনের মধ্যে জীবনকে নিয়ে আসতে হবে। যেখানে থাকবে কখন শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে, আর কতক্ষণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা যাবে বা আর কখন বাড়ির কাজ করতে হবে সেটা।’
শারিরীক ফিটনেস নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে কোহলি বলেন, ‘নির্দিষ্ট স্তরে খেলা একটা ভূমিকা রেখেছে। আমি যখন ফিট হতে শুরু করলাম, হঠাৎ বুঝলাম আমি আরও পরিষ্কার করে ভাবতে শুরু করেছি। আমি আরও ভালো বুঝছি, একাগ্রতা বেড়েছে। আমার বাহ্যিক গঠনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকভাবেও পরিবর্তন লক্ষ করেছি। শরীর যত ফিট হবে, তত আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।’