বছরের অর্ধেক পার না হতেই আফগানিস্তানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছে। জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে গত মাসের যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস চালিত আত্মঘাতী হামলার সংখ্যা ক্রমাগত হারে বেড়েই চলেছে। রবিবার একথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহযোগীটা মিশনের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, বছরের অর্ধেক হিসাবে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ শতাংশ। এই বছর মোট বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৬৯২ জন। তবে আহতের সংখ্যা কমেছে ৫ শতাংশ। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৩০ জন। সবমিলিয়ে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের হার কমেছে ৩ শতাংশ।
গত মাসে প্রথমবারের মত ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে তালেবান তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও আত্মঘাতী হামলায় নিহতের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে কাবুল ও জালালাবাদে ওই ধরণের হামলা বেশি ঘটছে।
এছাড়া, দেশটিতে আইএসের তৎপরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একারণে নানগরহারে হতাহতের সংখ্যা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মূলত রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা, গাড়ি বোমা হামলা, আত্মঘাতী হামলা, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ ও অন্যান্য জটিল হামলার কারণেই দেশটিতে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শিয়া উপাসনালয়, সরকারি কার্যালয়, দাতব্য সংস্থা ও ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রে হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ৫২ শতাংশের জন্য দায়ী করা হয়েছে, আইএস ও তালেবানের নানা ধরণের হামলাগুলোকে।