বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনসে যুক্ত হচ্ছে নতুন বিমান বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মিত বিমান দেশে আসার আগে যুক্তরাজ্যের ফার্নবরো এয়ারশোতে প্রদর্শন করা হয়েছে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এয়ারশোতে প্রদর্শনীর জন্য বাংলাদেশের নামখচিত আকাশবীণা বিমানটিকেই বেছে নেয়। মঙ্গলবার হ্যাম্পশায়ারের ফার্নবোরো বিমানবন্দরে হয় এই প্রদর্শনী। এ সময় বিমানটি আকাশে নিচু দিয়ে উড়ে গিয়ে দর্শকদের মাথার ওপর কয়েক চক্কর দিয়ে নেমে আসে রানওয়েতে।
প্রদর্শনীতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদেরও আমন্ত্রণ জানায়। এ সময় তারা সাংবাদিকদের কাছে বিমানের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বর্ণা করেন। তারা জানিয়েছেন, টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই উড়োজাহাজে রয়েছে যাত্রীদের জন্য নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা।
যাত্রীরা ৪৩ হাজার ফুট উঁচুতে নিরবচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সুবিধা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন। এছাড়া কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল দেখা যাবে সরাসরি। এই উড়োজাহাজে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হবে অন্যরকম। দীর্ঘ ভ্রমণের পরও যাত্রীরা সতেজ অনুভব করবেন।
যুক্তরাজ্যে বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, ড্রিমলাইনারের বিজনেস ক্লাসে ২৪টি সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড সিট এবং ইকনোমি ক্লাসে ২৪৭টি আসন রয়েছে। যেখানে বোয়িং ৭৭৭ এ যেখানে ৪১৯টি আসন থাকে। আসন কম হওয়ায় আপাতত লন্ডন-সিলেট-ঢাকা রুটে আকাশবীণা ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস সূত্রে জানা যায়, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০ আগস্ট আকাশবীণা উড়োজাহাজটি ঢাকায় নামবে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের এই নতুন এয়ারক্রাফটের উদ্বোধন করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে চারটি ড্রিমলাইনারসহ মোট ১০টি উড়োজাহাজ কেনার জন্য ২০০৮ সালে চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটি চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ ইতোমধ্যে বিমানকে সরবরাহ করেছে। প্রথম ড্রিমলাইনারটি আগস্টে যুক্ত হওয়ার পর নভেম্বরে আসবে দ্বিতীয়টি। এরপর আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে আরও দুটি ড্রিমলাইনার বাংলাদেশে পাঠাবে বোয়িং।