কিছু সময় পরই শেষ হচ্ছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এরপর শুরু হবে গণনা। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি বলছে জিততে চলেছেন ইমরান খান।
নির্বাচনের আগে থেকেই সেনাবাহিনির সঙ্গে ইমরান খানের গোপন আঁতাতের কথা শোনা যাচ্ছিল। অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন সেনা রোষে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দলটির নেতা কারারুদ্ধ নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের বিচারের বিষয়ে আদালতের ওপর সেনা বাহিনীর চাপ আছে বলে মনে করা হয়।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হলে কোন নীতি গ্রহণ করবেন তা নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে একেক সময় একেক কথা বলেছেন তিনি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গ্রাজুয়েট উদার ব্যক্তি জীবন কাটালেও রাজনীতিতে সুর মেলান কট্টরপন্থীদের সঙ্গে। যেমন পাকিস্তানের বিতর্কিত সামাজিক সালিশকে সমর্থন করেন তিনি।
পররাষ্ট্রনীতি কী হবে তাও স্পষ্ট নয়। তিনি একাধিকবার আফগানিস্তানে ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করেছেন। কড়া সমালোচনা করেছেন, পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার। অন্যদিকে পাকিস্তানে চীনের বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ নতুন সংকট সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে নীতি যাই হোক ক্ষমতায় গেলে অনেকগুলো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে ইমরান খানকে। উগ্রবাদের চলমান চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি রয়েছে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যু। বর্তমানে পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ভয়াবহভাবে হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি ডলারের তুলনায় ২০ ভাগ পড়ে গেছে পাকিস্তানি মুদ্রা রুপির দাম। তবে ক্ষমতায় গেলে ১০ লাখ নতুন চাকরি সৃষ্ট্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমরান খান।