মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অনুমোদন, নিয়ন্ত্রণ ও কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই আইনের ফলে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো ব্যাংকিং ব্যবসা করতে পারবে না। গ্রাহকের স্বার্থক্ষুন্নকারী এবং অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে। সোমবার ‘বাংলাদেশ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) রেগুলেন্স-২০১৮’ শীর্ষক আইনটি জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আইনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের নেতৃত্বে এমএফএস কোম্পানি করা যাবে। ব্যাংকের কমপক্ষে ৫১ শতাংশ মালিকানা থাকতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ সংক্রান্ত কার্যক্রম করা যাবে না। তবে কোন ব্যাংকের অনুমোদনকৃত ঋণ মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ এবং কিস্তি আদায় করা যাবে। গ্রাহকের একাউন্টে টাকা জমা ও উত্তোলন ছাড়া অন্যকোন ধরনের লেনদেন করতে পারবেনা এজেন্টরা। এজেন্টদের তৃতীয় পক্ষ হিসেবে টাকা পাঠানো বা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এমএফএসের লাইসেন্স দেবে। গ্রাহকের স্বার্থহানিকর কোন কাজ বা গুরুতর অপরাধ করলে লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স সংগ্রহ করে দেশে বিতরণ করা যাবে। তবে মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রসবর্ডার লেনদেন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও হুন্ডি প্রতিরোধে প্রচলিত মানিলন্ডারিং আইন মেনে চলতে হবে এমএমএফগুলোকে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর একাউন্টে টাকা জমাতে পারবেন গ্রাহকরা।
উল্লেখ্য, দেশে ১৮টি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রয়েছে। বিকাশ, রকেট, মাইক্যাশ, ইউক্যাশ, শিওরক্যাশ, এমক্যাশ এইগুলো জনপ্রিয়। প্রতিদিন গড়ে ১১০০ কোটি টাকা লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।