সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে কেন্দ্রিয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তরল বর্জ্য পরিশোধনে সিইটিপি যথাযথভাবে কাজ করছে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে আজ সোমবার চামড়া শিল্পের বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানের বিষয়ে এ শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে একথা জানানো হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, জমির মূল্য এবং সিইটিপির নির্মাণ খরচ এক সঙ্গে পরিশোধ করে সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
তিনি বলেন, ওষুধ শিল্পের জন্য বিসিক যে এপিআই শিল্প পার্ক তৈরি করছে, সেখানেও উদ্যোক্তারা একই সঙ্গে প্লট ও সিইটিপির ব্যয় পরিশোধ করছেন। চামড়া শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য এর ব্যতিক্রম কোনো নিয়ম চালু করা সমীচীন হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার, বিএসটিআই এর মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম, বাংলাদেশ ফিনিস লেদার, লেদার গুডস্ অ্যান্ড ফুট ওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, সাভারে চামড়া শিল্পনগরীর রাস্তাঘাট মেরামতে বিসিক অগ্রাধিকারভিত্তিতে উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে মেরামতের কাজ সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বলেন, চামড়া শিল্প বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিখাত। ২০২১ সাল নাগাদ এখাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এটি অর্জনের জন্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে উন্নতি ঘটাতে হবে।
তাদের দাবির প্রেক্ষিতে শিল্পমন্ত্রী বলেন, কেমিকেল আমদানির ক্ষেত্রে ‘সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়্যার হাউজ’ সুবিধা দেয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বরাবর সুপারিশ করা হবে। তিনি শিল্প উদ্যোক্তাদের অন্যান্য দাবি পূরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন।