রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এবারও জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন বর্জন করেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি। তার পরিবর্তে এবারের অধিবেশনে বর্মী প্রতিনিধি দলের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী টিন্ট শোয়ে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা ও মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের।
এর আগে ২০১৭ সালের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনও বয়কট করেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি এই নেত্রী। অধিবেশনে কয়েক দিন আগে মিয়ানমার জানিয়ে দেয় সুচি যাচ্ছেন না। তবে এ ব্যাপারে কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানে প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ২০১৮ সালের আগস্টে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয় এ অভিযানের পর থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানে গণহত্যার উপাদান রয়েছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। একই সঙ্গে চাপে পড়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচিও। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের সমালোচনার ভয়েই জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন বয়কট করেছেন সুচি।
তবে জাতিসংঘে না যাওয়াটা সমালোচনার ভয়ে নয় বলে দাবি করেছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল। দলটির মুখপাত্র অং শিন আল-জাজিরাকে বলেন, ‘তিনি কোন সমালোচনার ভয়ে ভীত নন, হয়তো সুচি ভেবেছেন মিয়ানমারে অবস্থান করলে তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে কাজ করতে পারবেন।’