সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মতো সৌদি যুবরাজের দিকে আঙুল তুললেন রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল-জাজিরা।
ট্রাম্প বলেন, ‘বাদশাহ সালমানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি কিছুই জানতেন না। তবে সৌদি আরবের সবকিছু এখন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিয়ন্ত্রণে। সুতরাং যদি কেউ জড়িত থাকে তিনি যুবরাজই।’
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বলছে, খাশোগির খুনের পেছনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই কলকাঠি নেড়েছেন। মঙ্গলবার তুর্কি সংসদে দেয়া ভাষণেও হত্যার পেছনে থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তবে যুবরাজ জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।
তুর্কি বাগদত্তার সাথে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি।
খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিনের মাথায় ১৯ অক্টোবর শুক্রবার সৌদি জানায়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল কসন্যুলেটে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাশোগির মৃত্যু হয়। এর দুদিন পরই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে স্বীকার করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার ট্রাম্প আরো বলেন, আমি মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছেও জানতে চেয়েছি। তবে তিনি বলেছেন তিনি জড়িত নন।
এ সময় সাংবাদিক জানতে চান রাজ পরিবারের অস্বীকারকে ট্রাম্প বিশ্বাস করেন কিনা। জবাবে অনেকক্ষণ চুপ থাকেন ট্রাম্প। এরপর বলেন, ‘আমি তাদেরকে বিশ্বাস করতে চাই।’
সৌদি আরবের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান আহমদ আল আসিরি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অন্যতম দেহরক্ষি সৌদ আল কাতানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৮ জনকে।