• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

‘জনগণের সমর্থন নিয়ে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে’

আপডেটঃ : শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৮

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে পীরগঞ্জে পীরগঞ্জ মহিলা কারিগরী ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ আয়োজিত মা ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নারীবান্ধব আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে নারী উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল।
তিনি বলেন, দেশের অর্ধেক জনসমষ্টি নারী। এই জনশক্তিকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে পারলেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ সহজ হবে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ পীরগঞ্জের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আজ বৈদ্যুতিক আলোয় লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। সমাজের অনগ্রসর অংশের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ল্যাকটেটিংমাদার সহায়তা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতাসহ অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানো হয়েছে।
সমাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মা ও অভিভাবক সমাবেশ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুখী-সুন্দর পরিবার গঠনে মায়ের ভূমিকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
স্পিকার বলেন, সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় মানসম্মত সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, সন্তান প্রসব ও প্রসূতি সেবা এবং পুষ্টি সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে প্রায় ১৩ হাজার ৫শ’ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন এবং সেখানে ডাক্তারসহ প্রশিক্ষিত জনবল ও ৩২ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রয়োজন অনুযায়ী সরবারহের ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিতে দূরবর্তী স্থানে যেতে হতো, এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের ফলে নারী ও শিশুদের সেবাগ্রহণ সহজ হয়েছে। এতে দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার প্রতিরোধ হয়েছে, বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি কমেছে।
স্পিকার বলেন, নারী প্রশিক্ষণ ও নারী কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের বিস্তার করার এখনই সময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উন্নীত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
তিনি ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে, ২০২৪ সালের মধ্যে পরিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সবাইকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এ উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে হবে বাংলার ঘরে ঘরে। তবেই আসবে অর্থনৈতিক মুক্তি, প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পীরগঞ্জ মহিলা কারিগরী ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের পরিচালনা পরিষদের পরিচালক সাদিদ জাহান সৈকত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ