• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

পুঁজিবাজারে ক্রেতাশূন্য, তিনশ কোটির নিচে লেনদেন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩

পুঁজিবাজারে ক্রেতাশূন্য, তিনশ কোটির নিচে লেনদেন

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশে ধুঁকতে থাকা পুঁজিবাজার পার করল আরও একটি হতাশার দিন। বিপুল সংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা নেই। এই অবস্থায় লেনদেন নেমে এসেছে তিনশ কোটি টাকার নিচে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারির পর এ ঘটনা ঘটল প্রথমবারের মত। টানা দুই দিন সূচক পতনের পর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার কিছুটা বাড়লেও লেনদেনের এই পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্বস্তি আরও বাড়ল।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ৩৯২টি কোম্পানির মধ্যে এদিন দাম বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ২৪টির। আগের দিনের দরে ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হয়েছে ২০৪টির শেয়ার। আর ৮৬টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সে যোগ হয়েছে মোট ৮ পয়েন্ট। এ নিয়ে চলতি মার্চের ১৬ কর্মদিবসে সূচক বাড়ল ৭ দিন, কমল ৯ কর্মদিবস।

সব মিলিয়ে ৩০২টি কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হলেও এক কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল ৪৪টি কোম্পানিতে। আরও ৫৪টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১০ লাখ থেকে এক কোটির মধ্যে। সব মিলিয়ে এক লাখ টাকার বেশি হাতবদল হয়েছে ১৬৪টি কোম্পানিতে।

সব মিলিয়ে ২৯টি কোম্পানির ১ থেকে ৯টি শেয়ার, ২২টি কোম্পানির ১০ থেকে ৪৩টি শেয়ার, ১১টি কোম্পানির ৫০ থেকে ১০০টি, ৩৮টি কোম্পানির ১০১ থেকে ৫০০টি শেয়ার, আরও ১৮টি কোম্পানির ৫০১ থেকে এক হাজারটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গত বছরের ৩১ জুলাই দ্বিতীয়বারের মত ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর থেকেই পুঁজিবাজার এভাবে অল্প কিছু কোম্পানির ওঠানামর ওপর নির্ভর করছে। ২২ ডিসেম্বর থেকে ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে দরপতনের সর্বোচ্চ হার এক শতাংশ করা এবং ২ মার্চ থেকে এসব কোম্পানিতে আবার ফ্লোর প্রাইস ফিরিয়ে আনা- কোনো কিছুই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, অর্থনীতির ওপর যে চাপের কথা এতদিন বলা হচ্ছিল, তা এখন তো অনেকটাই কাটতে শুরু করেছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছে, রেমিট্যান্স ঠিক আছে, রপ্তানিও বেশ ভালো। আমার মনে হয় এখানে সবাই অপেক্ষা করছে।”

কিসের অপেক্ষা?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “একটি আলোচনা আছে যে, বন্ডে বিনিয়োগ ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিটের বাইরে রাখা হবে। এটি যদি হয়, তাহলে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ