ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ ঘটনার পর লাখ লাখ ইসরায়েলি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। এর আগে এ প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকারের বিচার ব্যবস্থার বিতর্কিত সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনিই লিকুদ পার্টি সরকারের কোনো জ্যেষ্ঠ সদস্য যিনি এ সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিক্ষোভকারীরা জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাড়ির কাছে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। পরে তাদের ঠেকাতে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা জল কামান ব্যবহার করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বাড়ির কাছে বিক্ষোভের পর পুলিশকে এড়িয়ে ইসরায়েলের সংসদে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের ইসরায়েলের পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ইসরায়েলের এক সরকারি চাকরিজীবী বিবিসিকে বলেছেন, আমি মনে করি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমাদের যে সীমারেখা আছে তার সবটুকু নেতানিয়াহু অতিক্রম করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের যে গণতন্ত্র আছে আমরা তা রক্ষা করব। আমরা এভাবে ছেড়ে দিতে পারি না। এই পাগলামি বন্ধের আগে আমরা কিছু করতেও পারছি না কেনো।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তারা উদ্বিগ্ন এবং দুপক্ষকে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বিচার ব্যবস্থার এই সংস্কার পরিকল্পনায় এমন বিষয়ও রয়েছে—যেখানে বিচারক নিয়োগ কমিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণও সরকারের হাতে চলে যাবে। শুধু তাই নয়, সংস্কারকৃত আইনে শাসন কাজে অযোগ্য নেতাকেও আদালতের পক্ষে সরানো কঠিন করে তুলবে। আর এই দিকটিই অনেক ইসরায়েলিকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তারা মনে করছেন, ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহু নিজের স্বার্থের জন্যই এমনটা করছেন। কারণ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার বিচার চলছে।
এদিকে নেতানিয়াহু বলছেন, আদালতকে তাদের ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাওয়া বন্ধ করতে এই সংস্কার করা হচ্ছে। আর গত নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাই তারা তা করতে পারেন।