ইহুদীবাদী ইসরাইলে গত কয়েকদিনের তীব্র বিক্ষোভের পর কিছু হটলের নেতানিয়াহু।
জানা যায় ইসরাইলে বিচারবিভাগে সংস্কারের এক বিতর্কিত পরিকল্পনা তীব্র বিরোধিতা ও বিক্ষোভের মুখে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তা থেকে পিছিয়ে এসেছেন। নেতানিয়াহু জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে বলেন, সংস্কারের উদ্যোগটি পার্লামেন্টের আগামী অধিবেশন পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়া হবে- যাতে এ ব্যাপারে ব্যাপকভিত্তিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়।
তিনি আরো বলেন, তার সরকার দেশে গৃহযুদ্ধ চায় না।
এর আগে সরকারের একজন উগ্র-ডানপন্থী সদস্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই পরিবর্তনের উদ্যোগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পিছিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন।
বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন বলেন, নতুন পরিকল্পনায় ইসরাইলের ১২০ আসনের পার্লামেন্ট বা কেনেসেটের ক্ষমতা এমনভাবে বাড়বে যে তারা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ৬১ জন এমপির সমর্থন পেলেই– সুপ্রিম কোর্টের যেকোনো সিদ্ধান্ত উল্টে দিতে পারবেন।
পরিকল্পনায় আরো বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা আরো গুরুত্বপূর্ণ করা হবে। মন্ত্রীরা তাদের নিজস্ব আইন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারবেন ।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর আগে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ১২ বছর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
তবে এবার তিনি যে সরকার গড়েছেন- তাকে বলা হচ্ছে ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে উগ্র ডানপন্থী সরকার। তার কোয়ালিশনে অংশীদার দলগুলোর মধ্যে আছে অতি উগ্র ডানপন্থী, কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং অত্যন্ত গোঁড়া ইহুদি রাজনৈতিক দলগুলো।
ক্ষমতায় এসেই এ সরকার ঘোষণা করে যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি নির্মাণ সম্প্রসারণ হচ্ছে তাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।
ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছিলেন, আর ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়।
আন্তর্জাতিক আইনে এখানে ইহুদি বসতি নির্মাণ অবৈধ হলেও ইসরাইল এ পর্যন্ত ৫০০,০০০ ইহুদির জন্য বসতি নির্মাণ করেছে।
শুধু তাই নয়, আল-জাজিরার এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে নেতানিয়াহু কোয়ালিশন গঠনের জন্য একটি কট্টরপন্থী দলকে এমন অঙ্গীকারও করেছেন যে তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের অংশে পরিণত করবেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে বাস করেন প্রায় আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি।