ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। পরিস্থিতি ক্রমেই ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে সেখানে। এরই মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন দেশটির নাগরিকেরা। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে, অর্থসংকটের কারণে সংসারই চালাতে পারছেন না তারা।
এমতাবস্থায় ন্যূনতম চাহিদা পূরণে দুর্নীতির চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কাছে চিঠি লিখেছেন দেশটির শীর্ষ এক করকর্তা। এতে তোলপাড় চলছে পাকিস্তানজুড়ে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে দুর্নীতিতে যুক্ত হতে চাই— এই মর্মে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন দেশটির ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ (এফবিআর) ওই কর্মকর্তা। করকর্তার ওই চিঠি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যদিও ওই চিঠির সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ওই করকর্তা লিখেছেন, “এই মুহূর্তে আমাদের প্রিয় দেশের বিপজ্জনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি অবগত। দেশের অর্থনীতিতে স্থিতাবস্থা ফেরাতে আপনার সরকার চেষ্টার ত্রুটি করছে না।
চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, “করকর্তা হিসেবে গত ৪ বছর ধরে তিনি কাজ করছেন। কিন্তু কখনওই দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়াননি। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি যা, তাতে দুর্নীতি করা ছাড়া তার আর কোনও উপায় নেই।
তিনি আরও লিখেছেন, “দুর্নীতির কার্যকলাপে যুক্ত হলে অতিরিক্ত টাকা উপার্জন করতে পারব। ফলে সহজেই ন্যূনতম দৈনন্দিন চাহিদাও মেটাতে পারব।