তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ইস্যুতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল চীন।
হুঁশিয়ারি দিয়ে চীন বলেছে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি যদি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সাথে সাক্ষাত করেন, তবে ‘কঠোর প্রত্যাঘাত’ করা হবে।
গুয়েতেমালা ও বেলিজ সফরের পথে তাইওয়ানি প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রাবিরতি করার কথা রয়েছে। এ সময় ওই সাক্ষাত হতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে।
তবে ক্যালিফোর্নিয়ায় ম্যাকার্থির সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি কোনও পক্ষ।
চীন দাবি করছে, তাইওয়ান হল তার নিজস্ব ভূখণ্ড। তারা বারবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সাথে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাক্ষাতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছে। তারা মনে করে, এ ধরনের সাক্ষাত তাইওয়ানকে আলাদা দেশ হিসেবে বিবেচনা করতে উৎসাহিত করবে।
গত আগস্টে তৎকালীন মার্কিন পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করে। সে সময় তাইওয়ানের চার দিকে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীন।
চীনের তাইওয়ানবিষয়ক দফতরের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যাত্রাবিরতি কেবল বিমানবন্দর বা হোটেলে অপেক্ষা করার জন্য নয়, বরং মার্কিন কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাদের সাক্ষাত করার জন্য।”
তিনি বলেন, “তাইওয়ানি প্রেসিডেন্ট যদি মার্কিন হাউস স্পিকার ম্যাকার্থির সাথে যোগাযোগ করেন, তবে তা এক চীন নীতির মারাত্মক লঙ্ঘনে আরেকটি প্ররোচনা হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।”
তিনি বলেন, “আমরা এর তীব্রবিরোধী এবং অবশ্যই কঠোরভাবে প্রত্যাঘাত করব