• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সিরিয়া-কেন্দ্রিক উত্তেজনা বাড়ছে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

ইউক্রেন যুদ্ধের আঁচ বেশ জোরেশোরেই লেগেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায়। গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটিতে রুশ সেনাদের পাশাপাশি মার্কিন সেনারা ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ লড়াইয়ে ব্যস্ত। আবার ইউক্রেন যুদ্ধে দুই দেশই পরোক্ষভাবে মুখোমুখি। এমন প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটিতে মোতায়েন রুশ সেনারা।

রুশ সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হাসাকেহে ‘উসকানিমূলক’ ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী বেশ কয়েক বছর ধরে মোতায়েন রয়েছে। তারা স্থানীয় কুর্দি সেনাদের আইএস বিরোধী লড়াইয়ে সাহায্য করছে।

সিরিয়ায় রাশিয়ান কেন্দ্রের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল ওলেগ গুরিনভ বলেন, ‘হাসাকেহ প্রদেশে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটগুলোর মধ্যে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড লক্ষ করা গেছে। রাশিয়ান পক্ষ বিষয়টি নিয়ে জোটের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে।’

গুরনিভো বলেন, ‘মার্কিন সেনাদের যে অঞ্চলে থাকার কথা সে অঞ্চলের বাইরে তাদের দুই দফা দেখা গেছে। তারা সেখানে রুশ বাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিল।’
তবে কোন অঞ্চলে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে, তা প্রকাশ করেননি গুরনিভো। তুরস্কের সঙ্গে মিলে উত্তর সিরিয়ায় যৌথ টহল চালাচ্ছে রাশিয়া। গুরিনভ বলেন, ‘যৌথ রুশ-তুর্কি টহল চলাকালীন তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী জোট পরিচালিত দুটি টহল দল আমাদের সামনে চলে আসে। আমরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সিরিয়া-কেন্দ্রিক উত্তেজনা বাড়ছে
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট প্রায় আট বছর আগে সিরিয়া যুদ্ধে প্রবেশ করে, যেখানে রাশিয়া ২০১৫ সালে হস্তক্ষেপ করেছিল। এরপর থেকে মস্কো সিরিয়ায় একটি স্থায়ী বিমান ও নৌ ঘাঁটি স্থাপনসহ সামরিক স্থাপনা শাক্তিশালী করেছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় একাধিক বিমান হামলা চালায়। ওয়াশিংটনের দাবি, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী দমনে এই অভিযান, যারা সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, হাসাকেহ শহরে তাদের ঘাঁটিতে হামলায় এক সামরিক ঠিকাদার নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেকে।

শুক্রবার তারা জানায়, হামলা মোকাবিলা করে পাল্টা আক্রমণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের অর্থ, সম্ভবত ইউএস স্ট্রাইক গ্রুপ যেখানে ৫ হাজারের বেশি সেনা রয়েছে তাদের ডেকে পাঠাতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এই ইউনিটটি বর্তমানে ইউরোপীয় কমান্ড অপারেশনাল এলাকায় রয়েছে।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) মুখপাত্র কর্নেল জো বুকিনো এক বিবৃতিতে বলেন, জর্জ এইচডব্লিউ বুশ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের সম্প্রসারণের পাশাপাশি ইউএসএস লেইতে গালফ, ইউএসএস ডেলবার্ট ডি. ব্ল্যাক এবং ইউএসএনএস আর্কটিক জাহাজগুলোকে ডেকে আনা হবে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হবে সেন্টকম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ