প্রকাশ্য স্থানে হিজাব না পরায় ইরানে দুই নারীর মাথায় দই ছুড়ে মেরেছেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনা পর ওই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইরানের বিচার বিভাগ বলছে, জনসম্মুখে চুল প্রদর্শন এবং হিজাব না পরায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। ইরানে হিজাব না পরা পুরোপুরি অবৈধ। এ ছাড়া জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অভিযোগে হামলাকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে দোকানের মালিককে ‘প্রয়োজনীয় নোটিশ’ জারি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি দোকানে দুই নারী ক্রেতা ঢুকেছেন। তাঁদের সঙ্গে এক ব্যক্তি কথা বলছেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি দোকানের তাকে রাখা দইয়ের বাটি তুলে দুই নারীর মাথায় ছুড়ে মারেন।
এদিকে ইরানে দীর্ঘ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সত্ত্বেও হিজাব আইন কার্যকর রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সরকার। বিধিনিষেধ অবসানের দাবিতে কয়েক মাস বিক্ষোভের পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নারীদের মাথার হিজাবের নিয়ম লঙ্ঘন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগকে আলটিমেটাম দিয়েছেন কট্টরপন্থী এক ইরানি এমপি। এ ছাড়া ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে জানায়, হিজাব ইস্যুতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
হিজাব না পরার দায়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তেহরানে গ্রেপ্তার হন ২২ বছরের কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি। পুলিশি হেফাজতে কয়েকদিন পর মাহসার মৃত্যু হয়। তরুণীর পরিবারের দাবি, পুলিশের নির্যাতনে মাহসার মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ জানায়, আগের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন আমিনি। সেদিন থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে।