ভারতের পাঞ্জাবের বাথিন্দা সেনা ঘাঁটিতে গতকাল বুধবার (১২ এপ্রিল) অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় ৪ জন সেনা সদস্য নিহত হন। এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার দিন সেই একই ঘাঁটিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরেক সেনার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গতকালের গোলাগুলির ঘটনার সঙ্গে এই সেনার মৃত্যুর ‘কোনো সংশ্লিষ্টতা’ নেই।
ধারণা করা হচ্ছে, রহস্যজনকভাবে মারা যাওয়া ২০ বছর বয়সী এই সেনা সদস্য নিজ অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একই ঘাঁটিতে থাকলেও এই সেনা অন্য এক ইউনিটের সদস্য ছিলেন। আর গতকাল যে ৪ জন অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন তারা অন্য ইউনিটের ছিলেন।
এ ব্যাপারে বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, ‘বাথিন্দা সেনা ঘাঁটিতে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সেনা নিহত হয়েছেন। ওই সেনা নিজ অস্ত্রসহ ঘাঁটির নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই অস্ত্র এবং কার্তুজ কেসটি সেনার পাশেই পাওয়া গেছে। গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে তার মাথার ডানপাশে। তাকে দ্রুত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই সেনা গত ১১ এপ্রিল ছুটি কাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা প্রচেষ্টার ঘটনা। বাথিন্দা সামরিক ঘাঁটিতে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে যা হয়েছে এরসঙ্গে এ ঘটনার কোনো যোগসূত্র নেই।’
এদিকে গতকাল অজ্ঞাত দুই হামলাকারী বাথিন্দা ঘাঁটিতে প্রবেশ করে চার সেনাকে গুলি করে হত্যা করেন। নিহতদের সবাই ওই সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি ঘাঁটির ভেতর দু’জন ব্যক্তিকে কুর্তা-পায়জামা পরা অবস্থান দেখেছেন। যাদের একজনের হাতে একটি রাইফেল এবং অন্যজনের হাতে একটি কুড়াল ছিল। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি দু’জন ব্যক্তিকে পাশের জঙ্গল দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন।