বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যুক্তরাজ্যের আগে। বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা কম পয়েন্ট পেয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৪২তম। আইইপির তৈরি করা এ সূচকে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। একই অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো। চলতি বছর বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। আর দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে ভুটানের পরপরই অবস্থান বাংলাদেশের। দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিস (আইইপি) প্রকাশিত ২০২৩ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৩তম। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে এবার শীর্ষ স্থান দখল করেছে দক্ষিণ এশিয়ারই দেশ আফগানিস্তান। দেশটি সর্বমোট দশ পয়েন্টের মধ্যে ৮.৮২২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তালিকার শীর্ষে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বুরকিনা ফাসো, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে সোমালিয়া, মালি ও সিরিয়া।
বৈশ্বিক সূচকে যেমন বাংলাদেশ অগ্রগতি লাভ করেছে, তেমনি এগিয়েছে আঞ্চলিক ক্ষেত্রেও। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সূচকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান যৌথভাবে প্রথম। বাংলাদেশের মতো নেপালও দুই ধাপ এগিয়েছে। তবে নেপালের অবস্থান মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কাতারে। ২০২২ সালে বাংলাদেশে মাত্র দুটি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইইপি প্রতিবেদনে। পাশাপাশি প্রতিবেশী নেপালেও মাত্র দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আগেই বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান তালিকায় সবার শীর্ষে। এ অঞ্চল থেকে শীর্ষ দশে আরো জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির অবস্থান ৬ষ্ঠ। নতুন সূচকে ভারতের অবস্থানের কোনো হেরফের হয়নি। বিগত বছরের মতো এবারো দেশটি তালিকার ১৩তম অবস্থানে রয়েছে। এরপর শ্রীলঙ্কা ও নেপাল রয়েছে যথাক্রমে ২৯ ও ৩৬তম অবস্থানে। ভুটানে সন্ত্রাসবাদ তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি; তাই ভুটানকে এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। ২০২২ সালে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মোট ৬ হাজার ৭০১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় বিশ্বে মোট সন্ত্রাসবাদী হামলার সংখ্যা ৩ হাজার ৯৫৫টি। এবার হামলার সংখ্যা কমলেও সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণহানি বেড়েছে। ২০২২ সালে প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী হামলায় গড়ে ১.৭ জন নিহত হয়েছে।