দেড় মাস পর ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে টাকার অঙ্কে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা পার করেছে। মঙ্গলবার এ বাজারে লেনদেন হওয়া শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৭১৩ কোটি টাকা। এর আগে গত ৬ মার্চ ৭২৭ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়। যদিও এরপর ধারাবাহিকভাবে কমে গত ২৮ মার্চ ২৭২ কোটি টাকায় নামে।
অপেক্ষাকৃত ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারে মার্জিন ঋণ পাওয়ার নীতি শিথিল করার কারণে লেনদেন বাড়তে পারে শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ মনে করছেন। আইডিএলসি সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন সমকালকে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বাজার মন্দার মধ্যে চলছিল। এর মধ্যে ইতিবাচক কিছু পেলে তা আঁকড়ে ধরে নতুন করে স্বপ্ন দেখেন বিনিয়োগকারীরা। ভালো শেয়ারে মার্জিন ঋণ নীতিমালা শিথিল করার ইস্যুটি হয়তো তেমনই কিছু।
অবশ্য বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের খুব ভালো শেয়ার হিসেবে বিবেচিত, তার সবই ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। এগুলোর মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৪০-এর অনেক নিচে। যেমন– স্কয়ার ফার্মার পিই রেশিও মাত্র পৌনে ৯। ৫০ পিই রেশিও পর্যন্ত মার্জিন ঋণ পাওয়া যাবে– এ নীতি এসব শেয়ারের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলেনি। গতকালও এসব শেয়ারের সামান্য লেনদেন হয়েছে। নতুন নীতির কারণে ঋণ সুবিধা মিলবে বিএসআরএম লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, আমান কটন ফাইব্রস ও আমান ফিডের শেয়ারে। কিন্তু যেগুলোর পিই রেশিওই নেই, সেগুলোর দর বাড়ছে।
গতকাল ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে প্রথম চারটিরই কোনো পিই রেশিও নেই, কারণ এগুলো সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে লোকসানের তথ্য দিয়েছে। শেয়ার চারটি হলো– হেইডেলবার্গ সিমেন্ট, এমারেল্ড অয়েল, আরামিট সিমেন্ট ও বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম। অথচ এ চার শেয়ারের দর পৌনে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
সার্বিক হিসাবে গতকাল ৩৪২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ৫৩টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ২০৬টির দর।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৬২৬৩ পয়েন্টে উঠেছে। সূচকের এ অবস্থান গত ১৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। একক কোম্পানি হিসেবে গতকালও লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইউনিক হোটেলের শেয়ার।