একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে করা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। তার নাম মো. আজহার আলী শিকদার।
সোমবার (২২ মে) সকালে র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি দল গতকাল ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (বাংলাদেশ) কর্তৃক ইস্যুকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি আজহার আলী শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
ফজলুল হক আরও জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে আজহার আলীসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। এসব ঘটনার মধ্যে দুজন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২২ জনকে হত্যা, ৪০/৫০ বাড়ির মালামাল লুন্ঠনের পর আগুনে পুড়িয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা, দুইজনকে অমানষিক নির্যাতনে গুরুতর জখম এবং চার নারীকে দীর্ঘদিন রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা।
রাজাকার হিসেবে ১৯৭১ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ উপজেলায় অপরাপর সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে আজহার আলী এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই আজহার আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব-২।