পদযাত্রার-পেছন-থেকে-পুলিশের-ওপর-হামলা-হয়-ডিসি-রমনারাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে সংঘর্ষের পর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন ডিসি মো. আশরাফ হোসেন।
ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘পদযাত্রায় সামনের সারিতে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভালো আচরণ করেছেন। তবে পদযাত্রার শেষের সারি থেকে কিছু ছেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে মারধর করে।’
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে ভাংচুর-আগুনের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করেছে পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদযাত্রার পেছনের দিক থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘জিগাতলার দিক থেকে আসা বিএনপির পদযাত্রায় সামনের সারিতে থাকা নেতা-কর্মীরা খুবই ভালো আচরণ করেছেন। তবে পদযাত্রার শেষের সারি থেকে কিছু ছেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।’
পদযাত্রায় বাধাদান এবং এর জের ধরে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনার পর রমনা বিভাগের ডিসি ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার সায়েন্স ল্যাবে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আজ বিএনপির একটি পদযাত্রা ছিল পূর্বনির্ধারিত। বাংলাদেশ মেডিক্যাল থেকে শুরু হয়ে পথযাত্রাটি আসার কথা ছিল সিটি কলেজ পর্যন্ত। খুব শান্তিপূর্ণভাবেই তারা শুরু করেছিল। প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক ছিল পদযাত্রায়।
‘সামনের সারিতে যেসব নেতা-কর্মী ছিলেন তারা খুব ভালো আচরণ করেছেন। এই পর্যন্ত (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) এসে তাদের যা করার কথা ছিল তা-ই করেছেন। সিনিয়র সব লিডার চলে যান। কিন্তু পদযাত্রার শেষের সারি থেকে কিছু ছেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে মারধর করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হামলার ঘটনা চলার মাঝেই বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। তাতে ব্যর্থ হয়ে তারা বাসটির গ্লাস ভেঙেছে।
‘এই সংঘর্ষে আমাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তারা না ঘটালেও পারত। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’