ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে একই পরিবারের তিন সদস্যের প্রাণ। নিহতরা হলেন- হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন। তারা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। অন্ধ্রপ্রদেশে ধান চাষের কাজে যাচ্ছিলেন।
গায়েন পরিবারের কোনও সদস্য এ মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। ওই পরিবারের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাতে যখন ট্রেন দুর্ঘটনার খবর এল, তখন থেকেই আমরা সবাই আশঙ্কায় ছিলাম। আর যা আশঙ্কা করেছিলাম, আজ সকালে ঠিক সেই খবরই এল। তিন ভাইয়ের কেউই এই মুহূর্তে বেঁচে নেই।’
তিন ভাই আগেও একাধিকবার ধান চাষের কাজে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছেন। কিন্তু গতকাল যাওয়ার পথেই ঘটে দুর্ঘটনা।
তাদের ওই প্রতিবেশী আরও বলেন, ‘পরিবারের তিন পুরুষ সদস্য একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল। এবার ওই পরিবারের কি হবে তা ভেবে দুশ্চিন্তা হচ্ছে। দেখার মতো আর কেউ রইল না।’
এদিকে এই তিনজন ছাড়াও বাসন্তীর ছরানেখালি গ্রামের আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- বিকাশ হালদার ও সঞ্জয় হালদার। আহত হয়েছে বাসন্তী ও গোসাবা এলাকার আরও বহু মানুষ। সংখ্যাটি শতাধিক বলে জানা গেছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় সংঘটিত দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৯০০ জনের বেশি। ট্রেনের ভেতরে এখনও অনেকে আটকা পড়ে আছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।