• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

আমেরিকার বিষয়ে প্রধামন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে যা বললেন আমীর খসরু

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩

জাপানের রাষ্ট্রদূত নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত কিছুদিন আগে এসেছেন। তিনি নতুন। জাপানের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব অনেক পুরনো। ধরতে গেলে জাপানের সাথে আমাদের পার্টনারশিপ সবার ওপরে। তাদের অনেক বিনিনিয়োগ আমাদের দেশে আছে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি অন্যতম গ্রহণযোগ্য দেশ হচ্ছে জাপান। এজন্য জাপানের সাথে আমাদের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা ক্ষমতায় ছিলাম তখন অনেক ইনভেস্ট, বিনিয়োগ জাপান থেকে এসেছে।

আজ রোববার সকালে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকালে জাপান রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরির সাথে বৈঠকে বসেছে বিএনপি।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরির সাথে বৈঠকে ছিলেন জাপান দূতাবাসের প্রথম রাজনৈতিক সচিব মিস ইগাই।

আমীর খসরু বলেন, জাপান জানতে চাচ্ছে আগামী নির্বাচনে কী হবে, কী হতে যাচ্ছে। ক্ষমতার পালাবদল হলেও তাদের সাথে যেন সব সম্পর্ক অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে কথা বলেছে। তারা বোঝার চেষ্টা করছেন। তাদের অনেক বেশি বিনিয়োগ আছে গভমেন্ট সার্ভিস অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টরে। সবগুলো বিষয় আলোচনায় এসেছে।

আপনারা জাপানকে কী জানিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা বলা যাবে না।

‘সবার মধ্যে একটা আশঙ্কা ও শঙ্কা কাজ করছে। বাংলাদেশ যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাতে তো জাপান জানতে চাইতেই পারে যে, কী হচ্ছে আগামীতে।

আমীর খসরু বলেন, সারাবিশ্বের গণতান্ত্রিকামী দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের কথা বলেছেন। জাপান তো কোনো আলাদা দেশ না। তারা তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে যেন একটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে ২০ ঘণ্টার জার্নি করে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাবো না, অন্য অনেক মহাসাগর ও দেশ আছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, উনি আমেরিকা যাবেন কিনা সেটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ কোথায় যাবে সেটা তাদের ব্যাপার। একটা জাতি কোথায় যাবে, না যাবে এটা কি কোনো প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে পারে? বাংলাদেশের জনগণ কোথায় যাবে, যাবে না- এটা এদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা তো কোনো প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ