দেশের চিকিৎসাসেবায় প্রথমবারের মতো ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ফলে এখন আর লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে না। ঘরে বসেই অনলাইনে টিকিট কেটে চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন রোগীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রতিদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে ঢাকা এবং আশেপাশের জেলা থেকে হাজার হাজার রোগী আসেন। এসেই সুদীর্ঘ এক লাইনে অপেক্ষা করতে হয় টিকিট কাউন্টারের সামনে। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হলে আবার চিকিৎসকের কক্ষের বাইরে অপেক্ষার পালা। এতে রোগীরা অনেক সময়ই দুর্ভোগের শিকার হয়ে থাকেন। সেটি লাঘবের জন্যই ই-টিকিটিং সেবা চালু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ১৯ জুন ই-টিকিটিং ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরপর থেকেই এই সেবা চালু রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) মহাসচিব মো. কামরুল হাসান মিলন, এমআইএস ও. লাইন ডাইরেক্টর, এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
কী আছে ই-টিকিটে?
এই ব্যবস্থায় রোগী নিজের পছন্দমতো দিনের টিকিট কাটতে পারবেন। পছন্দমতো চিকিৎসা বিভাগ (মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি এবং অন্যান্য) নিজেই ঠিক করতে পারবেন।
এরপর পছন্দমতো সময়ে চিকিৎসকের সাক্ষাতের জন্য সময় নিজেই নির্ধারণ করতে পারবেন।
ই-টিকিটের রোগীদের জন্য আলাদা কক্ষ এবং সুনির্দিষ্ট করা থাকবে চিকিৎসক।
দেশের প্রচলিত অধিকাংশ অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজেই টিকিটের ১০.০০ টাকা মূল্যই পরিশোধ করা যাবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে স্মার্ট স্বাস্থ্য সেবার একটি পদক্ষেপ এই ই-টিকিট ব্যবস্থা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চিকিৎসাসেবায় এই ডিজিটাল ই-টিকিটিংয়ের সার্বিক কারিগরি সহযোগিতায় ও অর্থায়নে ভূমিকা পালন করছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমএইএস) শাখা।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ই-টিকিটিং সেবা চালু হওয়ার পরে বুধবার পর্যন্ত ওটিপি নিয়েছেন ৮০০ জন। আর হাসপাতালে এসেছেন ৪৫ জন । ওটিপি নেওয়া বাকিরা অন্য কোনো দিন এসে চিকিৎসা নেবেন। মানে গ্রাহকেরা খুব খুশি। কারণ ওনারা হয়রানি ছাড়াই চিকিৎসা নিতে পারছেন।