বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অনেক গান-কবিতা লিখেছেন ও গেয়েছেন। কিন্তু এগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারেননি হালিম রাজ (২৬)। গণভবনে পৌঁছাতে সব চেষ্টায় করেছেন। কিছুতে কিছু না হওয়ায় গণভবনে যাওয়া-আসা আছে, এমন ব্যক্তিদের খোঁজা শুরু করেন। পরে রাজ ৩৫ হাজার টাকায় চুক্তি করেন ধানমন্ডি-৩২ নম্বর জাদুঘরের আবুল কাশেম ওরফে কিশোর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। টাকা নিয়ে তাকে এক বছর ধরে ঘুরাচ্ছেন কিশোর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হালিম রাজ ও আব্দুল হালিম নামে আরেক যুবক নিজেরদের গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন ও ককটেল বোমাসদৃশ বস্তু বিস্ফোরণ ঘটায়।
রোববার বিকাল ৫টা ১৫মিনিটে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বেশকিছু ককটেল সদৃশ বস্তু অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় হালিম রাজ ও আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
তিনি জানান, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শান্তুর রেস্টুরেন্টের এলাকায় দুইজন ব্যক্তিকে গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা ও ককটেল বোমাসদৃশ বস্তুসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন– ময়মনসিংহের ধুবাউড়া ঘোষগাঁও এলাকার বাহার উদ্দিনের ছেলে হালিম রাজ (২৬) ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি চর পাড়াগাছা এলাকার মৃত তোফায়েল আহমেদের ছেলে আব্দুল হালিম (৩০)। তারা বর্তমানে ঢাকা থাকেন।
ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, হালিম রাজ পড়াশোনা করেছে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি ইউটিউবার। আর আব্দুল হালিম রিকশাচালক। রাজের কবিতার বই, গানের সিডি ও পেনড্রাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন। বিভিন্ন সময় মানুষের কাছে তদবির করেছেন। যে আমার এই গুলো পৌঁছে দেবেন। পরে লোকমুখে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের জাদুঘরে কর্মরত আবুল কাশেম ওরফে কিশোরের কথা শুনে তার শরণাপন্ন হন রাজ। কিশোর এসব পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে রাজ ৩৫ হাজার টাকা দেন। এর মধ্যে কিশোর বছরখানেক ধরে আজ না কাল বলে আসছেন।
তিনি আরও জানান, পরে রাজ হতাশ হয়ে ইউটিউবে থেকে বোমা বানানো শিখেন। সেটা বানিয়ে কিশোর টাকা নিয়ে কাজ না করায় তিনি রেগে এই কাজ করেছে বলে জানিয়েছে। দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য রাজ এই কাজ করেছে। গ্রেপ্তারের পর বিস্ফোরক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে তোলা হবে।