বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম বেগবান করতে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে দেশের সব সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে আমাদেরকে বিপজ্জনক পরিণাম বরণ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের ডেঙ্গু জ্বরের পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৭৫ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু সাড়ে তিন শতাধিক। গত এক সপ্তাহের মৃত্যু প্রায় শতাধিক, যার বেশিরভাগই ঢাকায়। ঢাকাসহ দেশের সব হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুরোগী ব্যবস্থাপনায় ডাক্তাররা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট থাকায় স্বজনরা রোগী ভর্তির জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটোছুটি করছেন। হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে অনেকেই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট এবং অসাধু ব্যাবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছেন, বরাবরের মতোই সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
ডা. রফিক বলেন, যখন অনেকেই বর্ষা মৌসুমের আগেই এডিস মশার লার্ভা নিধনের পরামর্শসহ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছিলেন, তখন সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে বরং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নিধনেই বেশি ব্যস্ত ছিলো। যার কারণে এবার ডেঙ্গু ঢাকাসহ প্রায় সবগুলো জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। নিম্নমানের কীটের কারণে রোগ নির্ণয় পর্যন্ত সঠিকভাবে সম্ভব হচ্ছে না।
বিবৃতিতে তিনি জরুরিভাবে মানসম্মত ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় কীটের ব্যবস্থা করে প্রতিটা জ্বরের রোগীকে ডেঙ্গু স্ক্রিনিংয়ের আওতায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।