• রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

আড়তগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য

কলাপাড়ায় ইলিশের আমদানি বেড়েছে, বিক্রি দুই কোটি ৮০ লাখ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩

কলাপাড়ায় গভীর সমুদ্রগামী জেলেদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। অনেক ট্রলারের জেলে ২০-১২০ মণ পর্যন্ত ইলিশ নিয়ে কিনারে ফিরছে। ইলিশের আমদানিতে বৃহত্তম মহিপুর-আলীপুর মোকামে অনেকটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন পরে ইলিশের দেখা মেলায় জেলে ছাড়াও ট্রলার মালিক, আড়ত মালিকসহ এই পেশা সংশ্লিষ্টদেরও মনে আশার সঞ্চার ঘটেছে। মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে।

বুধবার দুপুর থেকে জেলেদের আহরিত ইলিশ আড়তে তোলা এবং নিলামে বিক্রি নিয়ে অনেক জেলেদের ব্যস্ত দেখা গেছে। দীর্ঘ অবরোধের পরে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, এরপরে ফের সাগরে গিয়ে এক তৃতীয়াংশ ট্রলারের জেলেরা ইলিশ পেয়ে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার অপু সাহা জানান, বুধবারে এফবি জুবায়ের ইসলাম-২ ট্রলারের মাঝি আব্দুল নুর ৭০ মন ইলিশ পেয়েছেন। যা ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এফ বিলকিস-১ ট্রলারের মাঝি মোঃ হাসেম ৬০ মণ ইলিশ পেয়েছেন। বিক্রি করেছেন ২০ লাখ টাকা। এভাবে এফবি বিলকিস-২, ট্রলারের মাঝি জব্বার হোসেন বিক্রি করেছেন ২২ লাখ টাকায় ৭০ মণ ইলিশ। এফবি রাকিবুল হাসান ট্রলারের আবু সত্তার ৫০ মণ ইলিশ ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।

এফবি মদিনা-১ ট্রলারের মাঝি কালাম হোসেন ৪০ মণ ইলিশ ১৫ লাখ টাকায়, এফ বি মরিয়ম ট্রলারের মালেক খান ৬০ মণ ইলিশ ২০ লাখ টাকায়, এফবি রিফাত-২ ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন ১২০মণ ইলিশ ৪০ লাখ টাকায়, এফবি আল্লাহ মালিক ট্রলারের মাঝি আহমেদ কবির ১১০ মণ ইলিশ ৩৫ লাখ টাকা, এফবি হোসেন-২ ট্রলারের দুলাল মাঝি ৫০ মণ ইলিশ ১৫ লাখ টাকায়, এফবি এলমা আক্তার-৪ ট্রলারের মাঝি আলমগীর ৩০ মণ ইলিশ নয় লাখ টাকায়, এফবি মা-আমেনা ট্রলারের মাঝি সাদ্দাম ৪০ মণ ইলিশ ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।

এভাবে আজ বুধবার উল্লেখ যোগ্য পরিমাণ ইলিশ আহরণ করা ১১ টি ট্রলারের জেলেরা অন্তত ৭০০ মণ ইলিশ পেয়েছেন। যা বিক্রি হয়েছে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকায়। এসব ট্রলার খাপড়াভাঙ্গা নদীর আলীপুর পাড়ে মাছ বিক্রি করেছে। এছাড়া আরও এফবি মা-বাবার দোয়া, এফবি আল্লার দান, এফবি নিপা-৬ ও এফবি কাজল ব্রাদার্স নামের আরও চারটি ট্রলার অন্তত আরও ১১০ মণ ইলিশ মহিপুর ঘাটে অন্তত ৫০ লাখ টাকায় বিক্রির খবর নিশ্চিত করেছে মৎস্য বিভাগ।


এছাড়া এর চেয়ে কম সংখ্যক ইলিশ নিয়ে ফিরছেন আরও অসংখ্য ট্রলারের জেলেরা। কাঙ্খিত ইলিশের কমবেশি দেখা পাওয়ায় ইলিশসহ গভীর সমুদ্রগামী মাছ শিকারি জেলেসহ ট্রলার মালিকদের চোখে-মুখে দীর্ঘদিন পরে হাসি ফুটেছে। তবে ইলিশের দাম বেশ চড়া। ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে বলেও অপু সাহা মন্তব্য করেন।

মহিপুর আড়ত মালিক ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান ফজলু গাজী জানান, বেশি গভীরে যাওয়া লাল জাল নিয়ে মাছ ধরার ট্রলারগুলো কমবেশি ইলিশ পাচ্ছে। তার দাবি শতকরা ১০-১৫টি ট্রলার ইলিশ পাচ্ছে। বাকিরা সামান্য সংখ্যক ইলিশ পেয়েছে। তবে অনেক জেলেরা অভিযোগ করেন, বহু ভারতীয় ট্রলার বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ