ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির ব্যর্থতা ও সফলতা বিচারের ভার জনগণের হাতে। জনগণ দেখছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ওয়েস কর্তৃক আয়োজিত টেকসই নগর ও জনপদের জন্য সবুজায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ছুটে যাচ্ছি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে, সচেতনতা বাড়াতে। মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। শিশুদের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে সবার ঢাকা অ্যাপসে ও ফেসবুক পেজে এলাকাভিত্তিক মশককর্মীদের তালিকা দেওয়া আছে। সবাই সরাসরি মশককর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। আমি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে মোহাম্মদপুরে জাপান গার্ডেন সিটিতে অভিযানে গিয়েছিলাম। সেখানে ভবনের বেজমেন্টে প্রচুর লার্ভা পেয়েছি, ম্যাজিস্ট্রেট তখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে। এক মাস পরে আমি আবার জাপান গার্ডেনে অভিযানে গিয়েছি এবং দেখেছি ভবনগুলোর বেজমেন্টে কোনো লার্ভা নেই। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কোথাও জমা পানি নেই। অতএব সবাই সচেতন হলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব।
মেয়র বলেন, অভিযানের বা জেল জরিমানার ভয়ে নয় বরং শহরটাকে ভালোবেসে পরিষ্কার রাখুন। সবাই যার যার আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। কোথাও পানি জমতে দেবেন না। তাহলেই আমরা ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন, মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম প্রমুখ।