অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ চেয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন রেমিট্যান্স বাড়ছে না তার সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজতে হবে। সমাধানের পথ বের করতে হবে। এজন্য অর্থনীতিবিদ যারা রয়েছেন, এ সেক্টরের বিশেষজ্ঞ যারা রয়েছেন, তাদের কাছে আমরা উদ্ভাবনী পরামর্শ চাই। আপনারা রেমিট্যান্স প্রবাহ ঠিক রাখতে সংস্কারের প্রস্তাব বাপরামর্শ দিলে আমরা গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক লোক দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তবে, সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়ছে না। তাই প্রবাসী আয় বাড়াতে কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে সরকার। এজন্য আমি সংশ্লিষ্টদের উদ্ভাবনী পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। প্রবাসী আয় বাড়ানো গেলে অর্থনীতির চলমান সব সমস্যা সমাধান সম্ভব।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এখন তরুণরা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে গিয়ে স্থায়ী হচ্ছেন। শ্রমিকরাও বৈধপথে বিদেশ যাচ্ছেন। কিন্তু সেই অনুপাতে দেশে রেমিট্যান্স আসছে না। আগে যেভাবে রেমিট্যান্স আসতো এখন যদি সেভাবে রেমিট্যান্স আসে তাহলে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং বিশ্বব্যাংকের গভর্ন্যান্স গ্লোবাল প্রাকটিসের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্র্যাকটিস ম্যানেজার হিশাস ওয়েলি।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠন বিষয়ে প্যানেল আলোচনা হয়। এতে আলোচক ছিলেন সাবেক পাঁচ অর্থসচিব। তারা হলেন- মো. জাকির আহমেদ খান, ড. মোহাম্মদ তারেক, ফজলে কবির, মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, আব্দুর রউফ তালুকদার।