• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি মিলতে পারে ডিসেম্বরে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩

বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত প্রতিনিধি দল। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন বা ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আগামী ডিসেম্বরে পেতে পারে বাংলাদেশ।

 

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) আইএমএফের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির জন্য দেওয়া ৬ শর্তের দুই শর্ত পূরণ করতে পারিনি, বাকিগুলো পূরণ হয়েছে। তবে দুটি শর্ত কেন পূরণ করা যায়নি তার ব্যাখ্যা আইএমএফকে আমরা দিয়েছি। ব্যাখ্যায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর আইএমএফের বোর্ড মিটিং আছে। আশা করছি সেখানে দ্বিতীয় কিস্তির অনুমোদন আসবে। আমরা ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাব।’

 

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে মেজবাউল হক বলেন, ‘নিট রিজার্ভ সম্পর্কে আমি এখন বুঝতে পারছি না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব সম্পর্কে বলতে পারব। বিপিএম ৬ অনুযায়ী হিসাব প্রতি সপ্তাহে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হচ্ছে।’

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা যে দুই শর্ত পূরণ করতে পারিনি তার একটি নিট রিজার্ভ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৫ দশমিক ৩ বিলিয়নে রাখা, সেটা হয়নি। অন্যটি হলো রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, বিপরীতে ১৪ হাজার পিছিয়ে রয়েছে আদায়।’

 

এর আগে সকাল ১০টা থেকে আইএমএফ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। আর ১৩ সদস্যের আইএমএফ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ।

 

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ঋণ অনুমোদনের পর বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানায়, এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) বা বর্ধিত ঋণসুবিধা ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএএফএফ) বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় আরও ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।

 

অনুমোদনের পরপরই ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে বাংলাদেশ ৪৭৬ মিলিয়ন বা ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ