• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন

কিডনিতে পাথর হলে বুঝবেন যেভাবে,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত

আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ কিডনি। শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। তাই কিডনি ভালো রাখতে আমাদের কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিত। কিডনি ভালো করে কাজ না করলে জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়। যা শেষমেষ মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যায়।

কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে, কিডনিতে পাথর হওয়া। আর এ সংখ্যাটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিডনিতে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনিতে পাথর তৈরির প্রধান কারণ ডিহাইড্রেশন। যারা পর্যাপ্ত পানি পান করেন না, তাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে কিডনিতে পাথর তৈরির আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া আরো কিছু কারণেও কিডনিতে পাথর জমতে পারে।

এ ছাড়াও তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার মতো নানা লক্ষণ কিন্তু কিডনিতে পাথরের ইঙ্গিত দেয়। আসলে কিডনিতে পাথর কোথায় ও কতগুলো আছে এ সবের উপরেই অসুখের লক্ষণ নির্ভর করে। পাথর যদি খুব ছোট আকারের হয়, তাহলে কোনো লক্ষণ নাও টের পেতে পারেন। তাই কিছু লক্ষণ জেনে রাখা ভালো, যাতে এই অসুখ নিয়ে আগাম সচেতন হওয়া যায়।

কিডনিতে পাথর জমেছে কি না, তা কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন জেনে নিন-
তলপেটে ব্যথা- তলপেটেও ব্যথা হতে পারে। বেশ কিছু দিন ধরে এই ব্যথা হতে থাকে, তা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না। কিডনিতে পাথর জমার অন্যতম লক্ষণ হলো তলপেটে ব্যথা। ব্যথা কিছুতেই না কমলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ করে নিন।

পিঠ ও পাজরে ব্যথা- কিডনিতে পাথর হলে পিঠের দিক ও পাঁজরের দু’পাশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথা অল্প হলেও অবহেলা করবেন না। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্যথা বেশি দিন ফেলে রাখলে শরীরের অন্দরে জটিলতা বাড়তে পারে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা- কিছু খেলেই বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শারীরিক ক্লান্তি, ক্ষুধা না লাগা ইত্যাদি কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। অনেকেই এই উপসর্গগুলোকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে ভুল করেন। তাই এমন কিছু লক্ষণ দেখলে এড়িয়ে না গিয়ে বরং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

জ্বর হওয়া- ঘন ঘন জ্বর হওয়াও কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ। ঠান্ডা লাগার কারণেই যে সব সময় জ্বর হবে এমনটি ভাববেন না। কিডনিতে পাথর হলেও জ্বর হয়।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া- কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময়ে কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময়ে জ্বালা অনুভব হয়। প্রস্রাবের সময়ে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্ত দেখা দেয়, তা হলে তা আরও চিন্তার। এই লক্ষণগুলি এক বার দেখা দিলে তা এড়িয়ে যাবেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ