• বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় একটি জিপ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী ও কয়েকটি যানবাহনের উপর উঠে শিশু ও নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত নিহত শিশুটির বাবা মো. সুমন (৩৫) ও ২৭ বছরের অজ্ঞাত এক নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গতকাল বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত ৯টার দিকে খিলক্ষেত বাজার যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন মেইন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে ইয়াছিন (৯) নামের এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তিনজনকে আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিলে রাত ১১টায় উজ্জ্বল পান্ডে (২৬) নামে এক যুবক মারা যান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমরিনা হক (৩৪) নামে আরেক নারী।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, একটি জিপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের উপরে উঠিয়ে দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশু ঘটনাস্থলে মারা যায়। আহত তিনজনকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দুজন মারা যান। তবে জিপটা জব্দ করা হলেও তার চালক পালিয়ে গেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য কাজ করছে পুলিশ।

নিহত উজ্জল পান্ডেরর শ্যালক সবুজ কির্তনীয়া জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার কাজিপাড়া গ্রামে। উজ্জল বর্তমানে ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় থাকতেন। এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করনে। তবে খিলক্ষেতে কেন গিয়েছিলেন তা জানা নেই।

আহত সুমনের বাবা মো. মফিজ জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া গ্রামে। সুমন মোহাম্মদপুর পাবনা হাউজ গলিতে পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি নিজে খিলক্ষেত ১৩নম্বর রোডে একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। সুমন ও সুমনের ছেলে ইয়াছিন খিলক্ষেতে তার কাছে আসছিল দেখা করতে। সেখান থেকে মোহাম্মদপুরে যাচ্ছিল। পরে জানতে পারি সড়ক দুর্ঘটনায় কথা। ঘটনাস্থলে এসে সুমনকে আহত অবস্থায় পাই। কিন্তু ইয়াছিনকে দেখতে পাইনি।

নিহত আমরিনা হকের স্বামী এসএম জিয়াউল হক জানান, তাদের বাড়ি গাজিপুর কাপাসিয়ায়। বর্তমানে খিলগাঁও গোড়ান এলাকায় থাকতেন। তিনি পলমল গ্রুপের ওয়েলফেয়ার অফিসার ছিলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জন (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, খিলক্ষেত থেকে তিনজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে উজ্জলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। আরমিনা হক চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান। সুমন নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ