• রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ‘ভালোবাসার বাড়াবাড়িতে’: ফেরদৌস

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৪

নির্বাচনি প্রচারণায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা অস্বীকার করে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ-সদস্য প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, এ ঘটনা ‘ভালোবাসার বাড়াবাড়ি’। শনিবার (৩0 ডিসেম্বর) বিকালে নির্বাচনি প্রচারণাকালে সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

ফেরদৌস আহমেদের নির্বাচনি প্রচারণার সময় সমর্থকদের মধ্যে শনিবার মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দুজনের হাত ভেঙেছে এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, সেন্ট্রাল রোডে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছিলেন ফেরদৌস। তার পাশে কে থাকবে এ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ফেরদৌসের সামনেই সমর্থকদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এতে ১২ জন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজনের হাত ভেঙে গেছে। তবে বিষয়টি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুপক্ষ থেকেই অস্বীকার করা হয়েছে।

এ চিত্রনায়ক বলেন, আমরা যখন মিছিল করে যাচ্ছিলাম, তখন আমি একটি বাসায় লিফলেট দেওয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশ করি। এরমধ্যে মিছিলের শেষের দিকে অতর্কিত এসে কে বা কারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের কাউকে আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যারা এটা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ফেরদৌস বলেন, আপনারা সবাই জানেন একটি চক্র চায় না শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আমি এতদিন ধরে নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছি, সেখানে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। সব জায়গায় সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। আজকের ঘটনা আমার কাছে মনে হচ্ছে পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। কারণ, আমার সঙ্গে যেসব ছেলেরা রয়েছে তাদের সবাইকে আমি বলেছি, আমরা এখানে এসেছি মানুষের সেবা করতে। সেখানে আমরা যেন কারোর বিড়ম্বনার কারণ না হই।

তিনি বলেন, মিছিলের শেষ দিক থেকে কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সেটি আমরা জানি না। এটা এক ধরনের অপরাজনীতি। আমরা আগেও দেখেছি, একটি পক্ষ হরতাল-অবরোধ দিয়ে আমাদের দেশকে স্থবির করার চেষ্টা করেছে। তারা যখন পারছে না, তখন বাসে-ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। এমন ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কারণে এমন ঘটনা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেব। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছি। আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কারণ, এ ধরনের কার্যক্রম আমার নির্বাচনি কাজকে বাধাগ্রস্ত করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ