বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকে কী অবস্থায় দেখতে চান— এমন এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তাদের (বিএনপি) অবস্থান তারা নিজেরাই পরিষ্কার করে দিয়েছে। আন্দোলনে বোঝা গেছে, তারা দুর্বল নাকি শক্তিশালী। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে অংশই নেয়নি, সেখানে তাদের অবস্থান পরিষ্কার। জনগণকে দিয়ে নির্বাচন বর্জন করাবে, সেখানেও তারা ব্যর্থ। তাদের শক্ত কোনও অবস্থান তো দেখতে পাচ্ছি না। দল হিসেবে তারা দুর্বল, একথা আমি বলতে চাই না।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) সব কিছু হারিয়ে শোক সাগরে নিমজ্জিত। শোকের মিছিল হারানোর বেদনা থেকে হয়। ইলেকশনে হেরে গেছে, আন্দোলনে হেরে গেছে; এখন আর কিছু করার নেই। আমি বলবো কালো পতাকার সঙ্গে, কালো ব্যাজ ধারণ করলে ১৬ কলা পূর্ণ হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গুজব সন্ত্রাস। দেশে বিদেশে গুজব চালাচ্ছে, তারা বাংলাদেশে সারা বিশ্বে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, অথচ বাংলাদেশে তারা এটাকে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি বলে অপপ্রচার করছে। মনে হয় যেন সরকার কচুপাতার উপর শিশির বিন্দু, একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই সরকারের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। কথার বোমা মেরে এই সরকারকে উৎখাত করা যাবে না।’
অপজিশন কে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দল কে হওয়া উচিত? পরে সাংবাদিক দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হবে বলে উত্তর দিলে তিনি আবার বলেন, তাহলে ধরে নিন তারায় হচ্ছে।’
তাহলে আওয়ামী লীগ ভার্সেস আওয়ামী লীগ হয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তারা একটা রাজনৈতিক দল, আওয়ামী লীগ ভার্সেস আওয়ামী লীগ মানে? তাদের পার্টি হচ্ছে জাতীয় পার্টি নট আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্বতন্ত্র আছে। আর দল যদি বলেন, তাহলে বিরোধী দল তো জাতীয় পার্টি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।