গত বছর অস্কার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মূল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল চড়-কাণ্ড। আর এবার অস্কার মঞ্চে তা দাঁড়াল গিয়ে নগ্নতায়। ৯৬তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে সেরা কস্টিউম ডিজাইনের পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে সব পোশাক খুলে ফেললেন জন সিনা। অস্কারের মঞ্চে এ এক মনে রাখার মতো ঘটনা বটে!
এর আগে ১৯৭৪ সালের অস্কারের মঞ্চে রবার্ট অপেল নামে একজন ঠিক এভাবেই নগ্ন হয়েছিলেন। ৫০ বছর পর সেটিরই পুনরাবৃত্তি করলেন জন সিনা।
সেরা কস্টিউম পুরস্কার ঘোষণা করতে গিয়েই এ কাণ্ড করেছেন জন। ১১ মার্চ লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে চলা অস্কার পুরস্কার মঞ্চে জনকে ডেকে নিয়েছিলেন উপস্থাপক জিমি কিমেল। তখনই বিবস্ত্র অবস্থায় মঞ্চে আসেন জন। লজ্জা নিবারণের জন্য হাতে ছিল এক টুকরো কাগজ।
জন তার প্রাইভেট পার্ট একটি বড় আকারের বিজয়ীর নাম থাকা খাম দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন এবং দর্শকদের প্রত্যেকের হতবাক প্রতিক্রিয়ার মাঝেই বলে ওঠেন, ‘পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে!’
মনোনীতদের নাম পড়তে পড়তে আলো নিভে আসতেই কয়েকজন সহকারী তার জন্য একটি চমৎকার গাউন নিয়ে আসেন। যাই হোক, পুয়োর থিংস ছবির জন্য অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হল মার্টিন স্করসেসি-এর হাতে। মূলত কস্টিউমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতেই এ কাণ্ডটি করেন জন সিনা।
এবার নগ্ন হওয়া নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া আসে জনের জন্য!
উল্লেখ্য, গত বছর অস্কারের সঞ্চালনা করেছিলেন ক্রিস রক। তিনি উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিংকেট স্মিথকে নিয়ে বেফাঁস একটি রসিকতা করে ফেলেন। সঞ্চালক বলেন, পরের ‘জি আই জেন’ ছবিতে অভিনয় করবেন জাডা। ১৯৯৭ সালের সেই ‘জি আই জেন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ডেমি মুর। ছবিতে তাঁর মাথায় চুল ছিল না। ঘটনাচক্রে জাডার মাথাতেও চুল নেই। কিন্তু সেটি একটি অসুখের কারণে। যে অসুখের নাম অ্যালোপেসিয়া।
এর জেরেই বীভৎস রেগে যান উইল স্মিথ। মঞ্চে উঠে ক্রিসকে সজোরে এক চড় মারেন তিনি। করেন গালিগালাজ। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু অস্কারের মতো মঞ্চে এমন ঘটনা হতবাক করেছিল গোটা বিনোদন জগতকে। সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতার পরও বেশ অস্তস্তিতে পড়তে হয়েছিল উইল স্মিথকে।