বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক ছিল নির্বাচন বয়কটের, ভোট বর্জনের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট না দিয়ে নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ তামাশার নির্বাচন, ডামি নির্বাচন বয়কট করেছে। তাদের সেই আন্দোলন এখনো চলছে। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ তাদের আন্দোলনের অংশ। গণতন্ত্রকামী সবাই এখনো ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আছেন। ৭ জানুয়ারির পর আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়েছে, আরও যৌক্তিকতা পেয়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১ ও ৫১নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোটে ৫ ভাগের মধ্যে জাতীয় পার্টি বলেছে ভোট হয়নি, আওয়ামী লীগের মনোনীত যারা প্রার্থী ছিলেন যারা হেরে গেছেন, তারাও বলেছেন নির্বাচন হয়নি। শেখ হাসিনাসহ তার দলের কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়া এই নির্বাচনের পক্ষে আর কেউ ছিল না। এই ৯৫ ভাগ মানুষের সঙ্গে আরও যারা নির্বাচনে গিয়েও নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে তাদেরকে নিয়ে আগামী দিনে যে আন্দোলনে যাচ্ছি, সে আন্দোলন ৭ জানুয়ারির থেকে আরও বেশি শক্তিশালী হবে। সেই আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছে, সেই আন্দোলনে বাংলাদেশের সুশীল সমাজও সম্পৃক্ত হয়েছে।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আগামীতে যে আন্দোলন আসছে, সেই আন্দোলন ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করতে হবে। ওয়ার্ড থেকে সুনামি করতে হবে। আন্দোলন করতে হবে ওয়ার্ডের অলিতে-গলিতে। ওয়ার্ড পর্যায়ে থেকে আন্দোলনের আওয়াজ তুলতে হবে। সেই আন্দোলনে এই আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, দেশে গণতন্ত্র চর্চা নেই, দেশের বিচার বিভাগ, বাক স্বাধীনতা, মানুষের ভোটাধিকার নেই। জনগণের কোন কথাকেই তারা তোয়াক্কা করছে না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, সদস্য আফাজ উদ্দীন আফাজ, হাজী মো. ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাকসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।