স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৭ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। গত ১৮ এপ্রিল ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এক দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ানোর মাধ্যমে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয় সেদিন।
মঙ্গলবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে এ দাম কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৭৬ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬০৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫১৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪২০ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তার আগে গত ২০ এপ্রিল সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮০৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৮৮ টাকা কমিয়ে ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫৬০ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তারও আগে গত ১৮ এপ্রিল সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।