বাংলা নমুনা প্রশ্ন
মিরাজুল ইসলাম, প্রাক্তন প্রভাষক
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ
সময়: ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পূর্ণমান – ১০০
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১,২, ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখঃ
গ্রামের নাম আনন্দপুর। মামার বাড়ি। কথায় আছে মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি। আসলেই তাই। পড়া নেই, বাধা নেই, যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াও, যা খুশি খাও। এই তো মামার বাড়ি। গেল বছর পয়লা বৈশাখের ছুটিতে গিয়েছিলাম আনন্দপুর। সেখানে পয়লা বৈশাখে মেলা বসে। মামা বললেন, তোমাদের মেলা দেখাতে নিয়ে যাব। আমরা ছিলাম চার জন- আমি, মামাতো বোন বৃষ্টি, সোহানা, আর ছোটভাই তাজিন। মেলা বসে সকালে। আমরা একটু দেরি করেই গেলাম। মামা বেশ মজার মানুষ। কাঁধে ঝোলানো একটা ব্যাগ। তাতে থাকে ছবি আঁকার নানান জিনিস থাকে একটা বাঁশি। পড়েন ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে। মেলার একটু কাছে পৌঁছাতেই শুনতে পেলাম নাগরদোলার ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দ। দেখলাম বাঁশের তৈরি কুলো, ডালা ঝুড়ি, চালুন, মাছ ধরার চাঁই, খালই আরো কত কী? বসেছে বাঙি, তরমুজ, মুড়ি-মুড়কি, জিলাপি আর বাতাসার দোকান সারি সারি। আরেকটু এগুতেই দেখতে পেলাম কত রঙের, কত বর্ণের বিচিত্র সব মাটির হাঁড়ি- ফুল, পাতা, মাছের ছবি আঁকা সেসবে। রয়েছে মাটির ঘোড়া, হাড়ি, ষাঁড় আর নানা আকারের মাটির পুতুল। আমার চোখ পড়ল কাজ করা অপূর্ব সুন্দর মাটির হাঁড়ির দিকে। আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর ও দিনাজপুরে পোড়া মাটির ফলকের নিদর্শন হয়েছে। মাটির এই শিল্প আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব।
১.সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লিখ: ১ × ৫ = ৫
আলোচ্য অনুচ্ছেদটি কোন বিষয় নিয়ে লেখা?
ক. বৈশাখী মেলা খ. আনন্দপুর গ্রাম গ. কুটির শিল্প ঘ. মাটির শিল্প
আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প কী?
ক. মাটির শিল গুখ. কুটির শিল্প গ. বেত শিল্প ঘ. কারু শিল্প
মৃিশল্পের শৈল্পিক নকশা করেন কারা?
ক. কামার খ. কুমোর গ. চিত্রশিল্পী ঘ. নকশাবিদ
মৃিশল্পের উপযোগী মাটি কোনটি?
ক. দোঁআশ মাটি খ. পলি মাটি
গ. এঁটেল মাটি ঘ.বেলে-দোঁআশ মাটি
নকশা করা হাঁড়িকে শখের হাঁড়ি বলার কারণ কী?
ক. রং করা থাকে খ. মেলা থেকে কেনা হয়
গ. মাটির তৈরি ঘ. শখের জিনিস রাখা হয়
২.প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লিখঃ ১ × ৫ = ৫
ক. প্রকৃতি খ. অপার গ. তিরিক্ষি ঘ. অবধারিত ঙ. নদী
৩.নিচের প্রশ্নগুলো সংক্ষেপে উত্তর লেখ: ১+২+২ = ৫
ক) মাটির শিল্প বলতে কী বুঝ?
খ) বাংলাদেশের কোথায় কোথায় পোড়া মাটির প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়?
গ) মৃিশল্প আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব— বুঝিয়ে লেখ।
৪.উদ্দীপকটির আলোচ্য বিষয়ের মূলভাব লিখ। ১ × ৫ = ৫
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬ ও ৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ,
তোমার বাতাস,
আমার প্রাণে
ও মা, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি,
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে-
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে কী দেখেছি
আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।।
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো-
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে-
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, আমি নয়ন
ও মা, আমি নয়ন জলে ভাসি।।
সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।।
৫.সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লিখ: ১ × ৫ = ৫
১. উদ্দীপকের কোন বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে?
ক. বাংলার ঐতিহ্য খ. বাংলার প্রকৃতির কথা
গ. বাংলার গান ঘ. বাংলার ক্ষেত ও নদী
২. জাতীয় সংগীতে বাংলার কোন মাসের কথা বর্ণিত হয়েছে?
ক. মাঘ ও ফাগুন খ. অঘ্রান ও চৈত্র
গ. বৈশাখ ও জৈষ্ঠ ঘ. ফাগুন ও অঘ্রান
৩. কীসের ঘ্রাণে মন পাগল করে?
ক. বটের ঘ্রাণে খ. ফুলের ঘ্রাণে গ. আমের ঘ্রাণে ঘ. ঝাউয়ের ঘ্রাণে
৪. মায়ের মুখের বাণী আমাদের কাছে কেমন লাগে?
ক. সুধার মতো খ. মাতৃদুগ্ধের মতো
গ. প্রকৃতির মতো ঘ. নদীর জলের মতো
৫. আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কে?
ক. কাজী নজরুল ইসলাম খ. শামসুর রাহমান
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ. জসীমউদ্দীন
৬.নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানের উপযুক্ত শব্দটি উত্তরপত্রে লেখঃ ১ × ৫ = ৫
শব্দ শব্দার্থ
সুধা মিষ্টি, মধুর
স্নেহ আদর, মমতা
বাণী কথা
বদনখানি মুখমণ্ডল
নয়ন চোখ
কূল তীর, পাড়
চিরদিন সারা জীবনব্যাপি
ক. মায়ের মুখের ______মধুর মতো লাগে।
খ. মায়ের ______পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
গ. বর্ষাকালে নদীর ______পানিতে প্লাবিত হয়।
ঘ. আমি ______দেশকে ভালোবাসব।
ঙ. মায়ের ______ মলিন হলে সন্তানের চোখে অশ্রু ঝরে।
৭.নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখ (যোগ্যতাভিত্তিক) ৩ × ৫ = ১৫
(ক) আমাদের জাতীয় সংগীত সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখ।
(খ) জাতীয় সংগীতে বাংলার প্রকৃতির যে সকল বিষয় ফুটে ওঠেছে তা পাঁচটি বাক্যে লিখ।
(গ) সোনার বাংলা গঠতে হলে কী করতে হবে? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
৮. নিচের যুক্তবর্ণ বিভাজন করে একটি করে বাক্য তৈরি কর: ২ × ৫ = ১০
ক. জ্ঞ, খ. ক্ত, গ. ম্প, ঘ. স্ত, ঙ. ঞ্চ
৯.যথার্থ স্থানে যতি চিহ্ন বসিয়ে বাক্যগুলো খাতায় লিখ:৫
আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প এ দেশের কুমার সমপ্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে মাটির জিনিস যেমন কলস হাঁড়ি সরা বাসনকোসন পেয়ালা সুরাই মটকা জালা পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ আরও কত কী
১০.এককথায় প্রকাশ কর: ১×৫ = ৫
ক. কী করতে হবে তা বুঝতে না পারা
খ. ভ্রমণ করা যায় না এমন
গ. চালচলনের বিবর্তন
ঘ. উপকারী উপকার স্বীকার করা
ঙ. যা প্রয়োগ করা যায়
১১.বিপরীত শব্দ লিখ: (৫টি) ১ × ৫ = ৫
নিপুণ, আমদানি, অনুরাগ, সাহস, খুব।
১২. কবিতাংশটুকু পড়ে নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর লিখঃ
গরু ডাকে হাঁস ডাকে-ডাকে কবুতর
গাছে ডাকে শত পাখি সারা দিনভর।
মোরগের ডাক শুনি প্রতিদিন ভোরে।
নিশিরাতে কুকুরের দল ডাকে জোরে।
দোয়েল চড়ুই মিলে কিচিরমিচির
গান শুনি ঘুঘু আর টুনটুনিটির।
শহরের পাতি কাক ডাকে ঝাঁকে ঝাঁকে
ঘুম দেয়া মুশকিল হর্নের হাঁকে।
(ক) গ্রামের মানুষ কোন পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠে? ২
(খ) কবিতাংশের মূলভাব লিখ। ৫
(গ) শহরে কী কারণে শব্দদূষণ ঘটে? ৩
১৩.মনে কর, তোমার নাম রিয়াজ/রানী। তুমি ফুলকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। তুমি বিদ্যালয়ের পাঠাগার থেকে বই নিতে চাও। এখন প্রয়োজনীয় তথ্য দ্বারা ফরমটি পূরণ কর। ৫
১.নাম :…………………………………………………..
২. বিদ্যালয়ের নাম : ………………………………
৩.শ্রেণি : ………………………………………………
৪. রোল নং : ………………….. ………………………….
৫. মাতার নাম : ………………………………………..
৬. পিতার নাম : ………………………………
৭. বইয়ের নাম : ………………………………………..
৮. বই গ্রহণের তারিখ:………………………………………
আবেদনকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ
১৪. মনে কর, তোমরা ঢাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঢাকার রমনায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বইমেলায় যাওয়ার অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি দরখাস্ত লিখ।
১৫। রচনা লিখ (১টি): ১০
(ক) কম্পিউটার: ভূমিকা— আবিষ্কার — কম্পিউটারের অবদান—উপকারিতা — অপকারিতা— উপসংহার।
(খ) জাতীয় পাখি দোয়েল: ভূমিকা — আকৃতি — খাবার—বাসস্থান — জাতীয় পাখি বলার কারণ— উপসংহার।
(গ) টেলিভিশন: ভূমিকা — আবিষ্কার — বিনোদনের মাধ্যম — বাংলাদেশে টেলিভিশন — উপকারিতা — অপকারিতা — উপসংহার।
(ঘ) মাতা-পিতার প্রতি কর্তব্য: ভূমিকা — সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার অবদান — মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য — উপসংহার।