• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

দানবীর রনদা প্রসাদ হত্যায় ‘রাজাকার’ মাহবুবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

আপডেটঃ : শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা (রায় বাহাদুর) ও তারপুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিসহ ৬৪ জনকে হত্যা মামলায় এলাকার কুখ্যাত রাজাকার মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে মাহবুব হোসেনের (৬৯) বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর মাহবুবকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকের কাছে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে মির্জাপুর থানার সাবেক ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন পিপিএম মাহবুব হোসেনকে গ্রেফতার করে। মাহবুব হোসেন বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আটক।
বৃহস্পতিবার আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থা ঢাকার ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠনের তথ্য প্রকাশ করেন বলে কুমুদিনী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
কুমুদিনী পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, ১৯৭১ সালে মির্জাপুর উপজেলাসহ টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি আল বদর বাহিনীর অন্যতম কমান্ডার কুখ্যাত রাজাকার মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, তার পুত্র মাহবুব ও আব্দুল মান্নানসহ তার সহযোগিরা হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা মির্জাপুর সাহাপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান ও কুমুদিনী ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিসহ মির্জাপুরে অন্তত ৬৪ জন বাঙালি নারী পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শুধু হত্যাযজ্ঞই নয়, তারা গণধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে শতশত বাড়িঘর জালিয়ে পুড়িয়ে দেয় বলে সে দিনের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তাদের অত্যাচারের শিকার হয়ে এলাকার লোকজন ও বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জোট বেঁধে ১৯৭১ সালের শেষের দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজাকার কমান্ডার মাওলনা আব্দুল ওয়াদুদকে পিটিয়ে হত্যা করলেও তার পুত্র মাহবু ও মান্নানসহ অপর সহযোগিরা পালিয়ে যায়।
এদিকে দীর্ঘ ৪৬ বছর পর মির্জাপুরে কুমুদিনী পরিবারের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল ৬৪ জনকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল প্রধান প্রসিকিউটর কো-অডিনেটর(আইজিপি পদ মর্যাদা) মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান,সহকারী প্রসিকউটর এম সানাউল হক(আইজিপি পদ মর্যাদা) ও তদন্তকারী কারী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান এবং রুপল দাস কুমুদিনী কমপ্লেক্রসহ মির্জাপুর গ্রামে একাধিকবার পরিদর্শন করেন এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্ত সংস্থার প্রতিনিধিরা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ সে দিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শিদের কাছে ঘটনার বিবরণ নেন সাক্ষি হিসেবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ