ঠিক যেন প্রথম ম্যাচের পুনারাবৃত্তি। উড়ন্ত শুরু পর পথহারা। ৯ ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলা চট্টগ্রাম ভাইকিংসের রংপুর রাইডার্সকে দিতে পারল মাত্র ১৬৭ রানের লক্ষ্য।
দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে লুক রনকি যখন ফিরলেন তখন দলের স্কোর ৯৯, সেটাও মাত্র ৮.৫ ওভারে। সেই দলটিই কিনা শেষ ১১ ওভারে তুলতে পারল মাত্র ওভার প্রতি ৬ গড়ে ৬৬ রান। অথচ হাতে উইকেট ছিল ৬টি। এজন্য অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককে দ্বয়ী করা যেতেই পারে। পাকিস্তানি সাবেক ৩২ বল খেলে করেন মাত্র ৩১ রান।
এর আগে টানা দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্যে টস জিতে বল বেছে নেয়া অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে সইতে হয়েছে রনকির তোপ। এদিনও সৌম্য-রনকি জুটি দুর্দান্ত শুরু এনে দেয় চিটাগংকে। মাত্র ৪.৪ ওভারের সেই জটিতে ৫৯ রান যোগ করেন তারা। তবে তাতে বাংলাদেশী ওপেনারের অবদান মাত্র ৭ বলে ৭। মাশরাফির বলে জিয়াইরের হাতে ক্যাস দিয়ে ফেরেন সৌম্য। ৮.৫ ওভারে রভি বোপার বলে জিয়াউরের কাছে ক্যাস দেয়ার আগে ৩৫ বলে ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রনকি। তাতে চার ও ছয় সমান ৭টি করে। নিজের পরের ওভারে দিলশান মুনারিভিরাকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামের লাগাম টেনে ধরেন বোপারা। ১৬ বলে মাত্র ১০ রান করে থিসারা পেরেরার বলে বাউন্ডারি লাইনে মাশরাফির দুর্দান্ত ক্যাসে পরিনত হন লুইস রিস। দুরন্ত শুরু করা চট্টগ্রামের রানের গতিও বিষ্ময়করভাবে কমে যায়। শেষ পর্যন্ত তাদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৪ উইকেটে ১৬৬।
প্রথম ম্যাচেও শুরুর দশ ওভারে ঝড় তোলা চট্টগ্রাম ১৪৩ রানে থেমে ম্যাচ হারে ৮ উইকেটে।