দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্রেফ ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ১১৪ রান তাড়ায় নেমে তারা করতে পেরেছে ১০৯ রান।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে একসময় বেশ কাছেই মনে হচ্ছিল লক্ষ্যটাকে। কিন্তু শেষ অবধি আম্পায়ারের কিছু সিদ্ধান্ত বদলে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।
ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওটনিয়েল বার্টম্যানের বলে ফ্লিক করতে গেলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লাগে। বল চলে যায় বাউন্ডারি পাড় করে। কিন্তু এর আগেই অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নাগোস্কি আউট দিয়ে দেন। এরপর রিভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রিয়াদ।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্প মিস করতো। আউটের সিদ্ধান্ত বদলে যায়। কিন্তু বল বাউন্ডারি পাড় করার আগেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গে ডেড হয়ে যাওয়ায় চার রান পায়নি বাংলাদেশ। শেষ অবধি সেটিই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। এ নিয়ে কথা বলেছেন তাওহীদ হৃদয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নিয়ম তো…আইসিসি কী করেছে সেটা আমাদের হতে নাই। আমি মনে করি আম্পায়ার কল (আউট) দিয়েছে। আম্পায়ারের ভুল হতেই পারে। তারাও মানুষ। আমাদের আরও দুই-একটা ওয়াইড ছিলো যেগুলো দেয়নি। এখানে এরকম ভেন্যুতে খেলা। ’
‘যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ সেই জায়গায় একটা-দুইটা রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। আমার মনে হয় চারটা রান, দুইটা ওয়াইড খুব ক্লোজ কল ছিলো। আমার আউটটা আম্পায়ার্স কল ছিলো। এই জায়গাগুলো উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসি যেটা নিয়ম করেছে এটা হাত নাই। ’
আম্পায়ারের আরও একটি সিদ্ধান্ত গেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। কাগিসো রাবাদার ১৮তম ওভারের একটি বল হৃদয়ের প্যাডে লাগতেই আউট দেন আম্পায়ার। জোরালো আবেদন ছাড়াই দেওয়া আউট আম্পায়ারস কল হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় হৃদয়কে। তার বিদায়ের পর আর কোনো বাউন্ডারি না হাঁকিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
নিজের আউট নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘সত্যি বলতে আমাদের জন্য ওইটা ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। শ্বাসরুদ্ধকর একটা ম্যাচ ছিল। আমার দিক থেকে যদি বলি তাহলে আমাদের খুব কঠিন। সেই চারটা রান হয়ত ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দিতো। ওইটা নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। ’