লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ সংগঠন রোববার জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
এদিকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইরান সমর্থিত এবং হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে গত শনিবার (২২ জুন) জামা ইসলামিয়া গ্রুপ তাদের কমান্ডার আয়মান গোতমেহের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে। লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা এলাকার খিয়ারায় অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
পরে ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে যে তারা সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে, ফজর ফোর্স, জামা ইসলামিয়া সশস্ত্র শাখা এবং হামাসকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য দায়ী ছিলেন আয়মান গোতমেহের।
এদিকে রোববার হিজবুল্লাহ জানিয়েছে যে, তার যোদ্ধারা খিয়ারা শহরে ইসরায়েলি শত্রুদের হাতে তাদের কমান্ডার হত্যার জবাবে বেইত হিলেল ব্যারাকে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে যে, লেবানন থেকে একটি ড্রোন বেইত হিলেল এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে এই ঘটনায় কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিব। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননে হামলা চালানো হলে তার পরিণত কতটা ভয়াবহ হতে পারে সে বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ইরান।
শুক্রবার (২১ জুন) ইরানের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ নিজেকে ও লেবাননকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। ইসরায়েল যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে তা হবে দেশটির চূড়ান্ত পরাজয়।