• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন

নেতানিয়াহু সত্যিই ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ : সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪

ইসরায়েলের জন্য ‘সবচেয়ে বড় বিপদ’ হচ্ছে নেতানিয়াহু। এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের এক সাবেক কর্মকর্তা। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছেন।

গাজায় শান্তি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য হামাসকে সমর্থন করার জন্য নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেছেন গনেন বেন ইজহাক নামের ওই সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য এসব করছেন নেতানিয়াহু।

৫৩ বছর বয়সী এই সাবেক গুপ্তচর ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের কথা উল্লেখ করে এএফপিকে বলেন, নেতানিয়াহু সত্যিই ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ এবং আমাকে বিশ্বাস করুন, আমি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় কয়েকজন বড় সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক উত্তেজনার কথা জোর তিনি বলেন, আমি মনে করি নেতানিয়াহু ইসরায়েলকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাইডেন ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক… এবং নেতানিয়াহু তার মুখেই থুথু ছিটিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধ্বংস করছেন তিনি।

গনেন বেন ইজহাক বলেন, ইসরায়েল আজ অভ্যন্তরীণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি (নেতানিয়াহু) সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বেনি গান্তজ। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। এক ভাষণে গান্তজ বলেন, নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত বিজয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছেন। সেকারণে আমি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিচ্ছি।

তিনি আগাম নির্বাচনের আহ্বানও জানান। বেনি গান্তজ বলেন, এমন একটি নির্বাচন হওয়া উচিত যা এমন কোনো সরকার প্রতিষ্ঠা করবে যারা জনগণের আস্থা অর্জন করবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের ভেতরে এবং বাইরে বেশ চাপের মধ্যেই আছেন নেতানিয়াহু। দেশজুড়ে তার জনপ্রিয়তা কমেছে, এমনকি নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও গাজা যুদ্ধ থামানোর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ